দীর্ঘ আন্দোলনে সেতু তৈরি হলেও নেই অ্যাপ্রোচ রোড। তাই সেতুর সুবিধা পাচ্ছেন না শ্রীকোণা মানিকপুরের মানুষ। এ বার অ্যাপ্রোচ রাস্তার দাবিতে পথে নামলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ আগের মতোই উদাসীন।
ঘাগড়া নদীর উপর সেতুর দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন কাছাড় জেলার শ্রীকোণা মানিকপুর অঞ্চলের জনগণ। শেষে দাবি মেনে সেতুর দরপত্র ডাকা হয়, নির্মাণও হয়। কিন্তু যে কারণে সেতুর প্রয়োজন, তারই উপযুক্ত ব্যবস্থা হয়নি। কোনও দিকে সেতুতে ওঠানামার রাস্তা নেই। তিন বছর ধরে একই অবস্থা। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মাঝেমধ্যে দায়সারা ভাবে দু’দিকে সামান্য মাটি ফেলা হয়। বৃষ্টি হলেই সেই মাটি ধুঁয়ে যায়।
মানিকপুরের বাসিন্দারা জানান, কিছু দিন পর ফের বৃষ্টি শুরু হবে। সে সময় কী ভাবে সেতু পার হবেন ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা— তা ভেবে দুশ্চিন্তায় সবাই। তাই আজ গ্রামবাসীরা জেলাশাসকের অফিসের সামনে একঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের নেতৃত্ব দেয় সারা ভারত কৃষক সভা, ডিওয়াইএফআই এবং সারা অসম নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন। তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসীকে নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক জিতু দাসের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে একটি স্মারকপত্র দেওয়া হয়।
কৃষক সভার নেতা সুভাষ দেব ও আজিরুদ্দিন বড়ভুইয়া বলেন, ‘‘প্রথমে ১৫ বছর সেতুর জন্য লড়তে হয়েছে। এখন লড়াইয়ে নামতে হল অ্যাপ্রোচ রাস্তার জন্য। প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের সে ব্যাপারে খেয়াল নেই।’’ ৮টি পঞ্চায়েতের মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন জানিয়ে সুভাষবাবু জানান, কিছু দিন অপেক্ষার পর তাঁরা সড়ক অবরোধ নামবেন। শুধু শ্রীকোণা মানিকপুর সড়ক নয়, আটকে দেওয়া হবে শ্রীকোণার জাতীয় সড়কও। অতিরিক্ত জেলাশাসক জিতু দাস জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে পূর্তকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পূর্ত বিভাগ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, সেতু ও অ্যাপ্রোচের জন্য পৃথক ভাবেই অর্থ মঞ্জুর হয়। এখানে শুধু সেতুর জন্যই মঞ্জুরি মিলেছিল। এখন তাঁরা অ্যাপ্রোচের জন্য দরখাস্ত করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy