Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুরীর দরজা খুলুক সবার জন্য, চায় সুপ্রিম কোর্ট

সব ধর্মের মানুষকেই মন্দিরে পুজো দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় কি না, তা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে বিবেচনা করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ভবিষ্যতে বাকি সব মন্দিরের ক্ষেত্রেই এই বিবেচনা করতে বলা হবে।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির

পুরীর জগন্নাথ মন্দির

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৮
Share: Save:

সব ধর্মের মানুষকেই মন্দিরে পুজো দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় কি না, তা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে বিবেচনা করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ভবিষ্যতে বাকি সব মন্দিরের ক্ষেত্রেই এই বিবেচনা করতে বলা হবে।

সুপ্রিম কোর্টে মৃণালিণী পাধি মামলা করে অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদেশ থেকে অনেক দর্শনার্থী ও অন্য ধর্মের বহু মানুষ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যান। কিন্তু তাঁদের মূল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। পুরীর জেলা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মন্দিরে থালা ও কলস রেখে দেওয়া হয় অর্থ সংগ্রহের জন্য। বিচারপতি এ কে গয়াল ও বিচারপতি আবদুল নাজিরের বেঞ্চ আজ নির্দেশ দিয়েছে, প্রয়োজন মতো গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে, পোশাক বিধি ঠিক করে দিয়ে এবং সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে সমস্ত দর্শনার্থীকেই মন্দিরে প্রবেশ ও পুজোর অনুমতির বিবেচনা করা হোক।

আদালতকে মামলায় সাহায্য করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যমকে নিযুক্ত করেছিল। তিনি আদালতকে জানান, অসমের কামাখ্যা মন্দির, কলকাতার কালীঘাট মন্দির, দিল্লির যমুনা বাজারের প্রাচীন হনুমান মন্দির, তামিলনাড়ুর তিরুতেন্দুর মন্দির, অজমেঢ়ের খ্বাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় অন্য ধর্মেরও প্রচুর মানুষ জড়ো হন। বিচারপতিরা এ দিন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি বি গজেন্দ্রগডকরের বই থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হল কোনও ধর্মই ধর্মীয় জ্ঞানের একচ্ছত্র মালিক নয়।’’

সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ উঠেছিল, অনেক মন্দিরেই দর্শনার্থীদের পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রকে ৩১ অগস্টের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারপতিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Puri Puri Jagannath Temple Odissa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE