Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নীরব কাণ্ডে ইডির নাটকে প্রশ্ন

নীরব মোদীর প্রত্যর্পণ মামলার জন্য সিবিআই-ইডির যে দলটি লন্ডনে রয়েছে, সত্যব্রত সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

নীরব মোদী। —ফাইল চিত্র।

নীরব মোদী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০১
Share: Save:

নীরব মোদীর মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর প্রধান তদন্তকারী অফিসার সত্যব্রত কুমারকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া ও পুনর্বহালের নির্দেশ ঘিরে জট এখনও কাটল না। বরং ইডির আরও কিছু তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে আসায় ধোঁয়াশা আরও বাড়ল।

নীরব মোদীর প্রত্যর্পণ মামলার জন্য সিবিআই-ইডির যে দলটি লন্ডনে রয়েছে, সত্যব্রত সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। গত ২৯ মার্চ, শুক্রবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নীরবের জামিন-আর্জির শুনানি ছিল। কিন্তু শুনানি শুরুর আগেই জয়েন্ট ডিরেক্টর সত্যব্রতের বদলির দেওয়ার নির্দেশ আসে। ইডি-র পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ কর্তা, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর বিনীত আগরওয়াল ওই নির্দেশ জারি করতেই দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ইডি সূত্রের দাবি, এই সময়ে দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি বিনীতের নির্দেশ বাতিল করে সত্যব্রতকে পুরনো দায়িত্বে ফেরান ইডি-র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্র।

সে দিন বিনীতের চিঠিতে বলা হয়েছিল, ডেপুটেশনে পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরিয়েছে সত্যব্রতের। তাই তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। যদিও পরে পুরো খবরটিই অস্বীকার করেছে ইডি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, এর পরেও বেশ কিছু নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, ডেপুটেশনে পাঁচ বছর পূর্ণ করা অফিসারদের সম্পর্কে দেশের সমস্ত শাখায় সুনির্দিষ্ট নির্দেশ এসেছিল ইডি-র সদর দফতর থেকেই। গত মঙ্গলবার, ২৬ মার্চের ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, মেয়াদ শেষের পরেও কোনও আধিকারিক নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করলে তিনি আইনি ব্যবস্থার মুখে পড়তে পারেন। গত ১২ মার্চ ডেপুটেশনের মেয়াদ শেষ করা সত্যব্রতকে সম্ভবত সেই নির্দেশ মোতাবেক বদলি করেছিল ইডি-র মুম্বই শাখা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কিন্তু এর পরেও ২৭ মার্চ লন্ডন রওনা হয়ে যান সত্যব্রত। কারও কারও মতে, পুরো ঘটনায় বিনীতের দিকে আঙুল উঠলেও কার্যত তিনি যে দিল্লির নির্দেশ মেনেই কাজ করেছেন তা স্পষ্ট। তা হলে প্রশ্ন, কেনই বা সেই বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করল ইডি-র সদর দফতর? শোনা যাচ্ছে, সত্যব্রতের ডেপুটেশনের মেয়াদ বাড়াতে অর্থ ও কর্মিবর্গ মন্ত্রকে আবেদন করতে চলেছে তারা। কিন্তু এই ধরনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করতে হয় নির্ধারিত তারিখের অন্তত ছ’মাস আগে। কাজেই সত্যব্রতের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছিল, স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ইডি-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইডি-র আধিকারিকরাও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE