রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে ঋণপত্র (বন্ড) কেনার রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা বাজেটেই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ওই পথে হেঁটে যাঁরা চাঁদা দেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন থাকবে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করলেন রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢিয়া। কিন্তু কী ভাবে সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
জেটলি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে আগামী দিনে ব্যাঙ্ক থেকে বন্ড কেনা যাবে। দাম মেটানো হবে চেক মারফত কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের নামে খোলা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙাতে পারবে। কিন্তু এখন ব্যাঙ্ক লেনদেনে প্যান নম্বর, আধার নম্বর ইত্যাদি অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত। ফলে চাঁদা যিনি দিচ্ছেন, তার ঠিকুজি ব্যাঙ্কের ঘরে থাকছেই। তা হাতে পাওয়া আয়কর দফতরের পক্ষেও কঠিন নয়। এই অবস্থায় গোপনীয়তার দেওয়াল তুলে রাখা কী ভাবে
সম্ভব, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় কারও কাছেই।