রাহুল গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
এক দিকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির আয় কমছে, অন্য দিকে বিত্তশালীদের সম্পদ ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে— এই অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল জানিয়েছেন, মুল্যবৃদ্ধির হার এবং কর্মসংস্থানের অভাবে সাধারণ মানুষ ভুগছেন, কিন্তু তাতে মোদী সরকারের কিছু এসে যায় না। আসলে লক্ষ্য বন্ধুদের স্বার্থ পূরণ করা। পরিবারপিছু আয় বৃদ্ধির হার সংক্রান্ত একটি গ্রাফ তুলে ধরেছেন রাহুল। ‘ইন্ডিয়াস কনজ়িউমার ইকনমি ৩৬০ সার্ভে’ নামে একটি সমীক্ষা রিপোর্টকে ভিত্তি করে ওই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন রাহুল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দরিদ্র শ্রেণির আয় বৃদ্ধির হার কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। ধনীদের আয়-বৃদ্ধি প্রায় ৪০ শতাংশ।
রিপোর্ট নিয়ে রাহুলের টুইট, “মূল্যবৃদ্ধির হার ও কর্মসংস্থানের অভাবে সাধারণ মানুষ যতই সমস্যায় পড়ুন, সুট-বুটের সরকারের শুধু লক্ষ্য বন্ধুদের কোষাগার ভরিয়ে তোলা।” গত বছর জানুয়ারিতে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছিল। পিপল’স রিসার্চ অন ইন্ডিয়া’স কনজ়িউমার ইকনমি (প্রাইস) নামে একটি সংস্থা সমীক্ষাটি করেছিল। এতে দেশের মানুষকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনী। এর মধ্যে আয় বেড়েছে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণির। সম্প্রতি সমীক্ষাটি ফের সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই রিপোর্টটিই তুলে ধরেছেন রাহুল। এর আগে প্রাক্তন আমলা অনিল স্বরূপও একই গ্রাফ তুলে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও এ প্রসঙ্গে টুইট করে জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খেত মজুরদের আয়-বৃদ্ধি ০.৯%, নির্মাণ শ্রমিকদের ০.২% ও অকৃষি শ্রমিকদের ০.৩%। অন্য দিকে, গত পাঁচ বছরে আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তি বৃদ্ধির হার ১৪৪০%। তাঁর কটাক্ষ, এ যেন ‘বন্ধুর সঙ্গে, বন্ধুর উন্নয়ন’। কংগ্রেসের এই অভিযোগ আজ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy