নীতীশকে বার্তা পাঠালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
বিহারে ফের নীতীশ কুমারকে ঘিরে শুরু টানাটানি।
বিজেপি ছেড়ে বিরোধী মহাজোটে যোগ দেওয়ার জন্য নীতীশকে বার্তা পাঠালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের মধ্যস্থতায় নীতীশও সম্প্রতি এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে লালু প্রসাদের কাছে দূত পাঠিয়েছেন। আজ মুম্বই হাসপাতালে চিকিৎসারত লালুকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজও নেন নীতীশ।
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা আজ জানান, দিল্লিতে বিরোধীদের সরকার হলে উত্তরপ্রদেশ থেকে তাতে সামিল হবেন মায়াবতী, আর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন অখিলেশ। একই ভাবে নীতীশ কেন্দ্রে মন্ত্রী হবেন, বিহারে মুখ্যমন্ত্রী হবেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে রাহুলেরও। কিন্তু যে ভাবে লালুকে ‘ধোঁকা’ দিয়ে নীতীশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, তাতে তাঁকে মহাজোটে ফেরাতে এখনও নারাজ তেজস্বী আজ বলেন, ‘‘মহাজোটে নীতীশের দরজা বন্ধ।’’ আজ নীতীশ যে ভাবে লালুর খোঁজ নিয়েছেন, তাকেও কটাক্ষ করেন তিনি। নীতীশ এখন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে লালুর কাছে দূত পাঠিয়েছেন। এমনকি এনডিএ-র শরিক হয়েও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থীকে সমর্থনে অসম্মত নয় জেডিইউ।
গত কয়েক দিন ধরেই নীতীশ ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্কে চিড় প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। একে তো আসন বণ্টন নিয়ে বিজেপির দাবি নীতীশের না-পসন্দ, তার উপর নীতীশের ভোটব্যাঙ্কেও থাবা বসানোর চেষ্টা করছে অমিত শাহের দল। এই অবস্থায় দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে এসে নীতীশ প্রধানমন্ত্রীর সামনেই চন্দ্রবাবু নায়ডুর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিকে সমর্থন করেন। বিহারের জন্যও তা দাবি করেন। যোগ দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানেও যাননি নীতীশ।
জেডিইউ-এর এক সূত্রের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে নীতীশ আলোচনা শুরু করেছেন। তবে তিনি সব দিক দেখে পা ফেলতে চাইছেন। কংগ্রেসের মতে, লালু আর তেজস্বীকে এ ব্যাপারে আগে সম্মত হতে হবে। নীতীশও মেপে নিতে চান, হাওয়া কোন দিকে বইছে। বিহারের রাজ্যপাট তেজস্বীর হাতে ছেড়ে শুধু দিল্লিতে মন্ত্রী হওয়াটা তাঁর কাছে সহজ নয়। তার উপর যদি শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে বিরোধীদের জোট সরকার না হয়? সেটাও ভাবাচ্ছে নীতীশকে। সামনের সপ্তাহে দলের কাজে দিল্লি আসছেন নীতীশ। তখনই দিল্লিতে কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy