নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যে নয়। গোটা দেশেই এখন জাঁকিয়ে বসছে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠন। তার মোকাবিলায় মুসলিম-সহ সব ধরনের সংখ্যালঘু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কংগ্রেস কর্মীদের পরিশ্রম করার পরামর্শ দিলেন রাহুল গাঁধী।
গোটা দেশ থেকে শ’খানেক সংখ্যালঘু নেতাকে সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কিন্তু বৈঠক মানেই গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বলবেন আর বাকিরা শুনবেন, এই বাঁধা ছক থেকে বেরোতে চেয়েছেন রাহুল। তাই এ দিন কোন রাজ্য থেকে কে বলবেন, তা বেছে নেওয়া হয় লটারি করে। বাংলা থেকে হাজির ছিলেন চার জন— বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী ও দুই বিধায়ক আখরুজ্জামান এবং সাবিনা ইয়াসমিন। লটারিতে নাম উঠেছিল ডালুবাবুর। তাঁর বক্তব্য শুনে নোট নেন রাহুল। ছিলেন অহমেদ পটেল, মহসিনা কিদোয়াই-সহ এআইসিসির কিছু শীর্ষ নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন: এনএসজি, কপ্টার নিয়ে চাপ চিনের
কংগ্রেস সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও মেরুকরণের রাজনীতির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ ডালুবাবু। তাঁর বক্তব্য, মেরুকরণের রাজনীতিতে বিজেপি-র সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে আখেরে সুবিধা হয়েছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারেরই। তৃণমূল এক দিকে দল ভাঙিয়ে কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে আর অন্য দিকে বিজেপি মূলত বামেদের ঘর ভেঙে নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছে। তার আগেই রাহুল বলেন, কংগ্রেস শুধু সরকারে থাকার জন্য রাজনীতি করে না। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছরের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিজেপি বেশি করে সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছে। ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য ধরে রেখে সংখ্যালঘু মহল্লায় মহল্লায় মানুষের ভয় কাটাতে কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দলের সহ-সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy