Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

অভিযানের ছক উপেন-সেনাপতির

রাকেশবাবু গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম নির্দেশক উপেন বিশ্বাসের অন্যতম সেনাপতি। লালুপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। লালুর বাড়িতে আগে অভিযানের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। রাকেশবাবু এখন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত নির্দেশক।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তে রাকেশ আস্থানা ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম নির্দেশক উপেন বিশ্বাসের অন্যতম সেনাপতি। —ফাইল চিত্র।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তে রাকেশ আস্থানা ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম নির্দেশক উপেন বিশ্বাসের অন্যতম সেনাপতি। —ফাইল চিত্র।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

নয়াদিল্লিতে রাকেশ আস্থানা, পটনায় বিনীত বিনায়ক— লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবারের ‘বেনামি’ সম্পত্তি খুঁজতে সিবিআইয়ের হাতিয়ার এই দুই আইপিএস অফিসারই।

রাকেশবাবু গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম নির্দেশক উপেন বিশ্বাসের অন্যতম সেনাপতি। লালুপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। লালুর বাড়িতে আগে অভিযানের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। রাকেশবাবু এখন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত নির্দেশক।

আরও পড়ুন: ইডি-র নজরে এ বার লালুর মেয়ে মিসাও

শুক্রবার পটনায় লালুর বাড়িতে অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম নির্দেশক বিনীত। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পটনার এসএসপি ছিলেন বিহার ক্যাডারের ওই আইপিএস। শহরের অলিগলি তাঁর নখদর্পণে। লালু, রাবড়িদেবী, নীতীশ কুমার তাঁকে ভাল ভাবেই চেনেন। গত কাল লালুর বাড়িতে মোতায়েন পটনা পুলিশের অফিসারদের সাহায্য পেতে তা-ই তাঁর তেমন অসুবিধা হয়নি।

আরজেডি শীর্ষনেতার বাড়িতে অভিযানের দু’দিন আগেই পটনায় পৌঁছেছিলেন তদন্তকারীরা। শহরের এ দিন ও দিক ঘুরতেন তাঁরা। তিন দিন ধরে সিবিআই অফিসারদের ভাড়া করা গাড়ি চালকরা এমনই জানিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে উঠতে পারেননি বিনীতবাবুরা। সে জন্যই লালুর বাড়িতে হানা দিতে কিছুটা দেরি হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের হোটেলে গাড়ি নিয়ে পৌঁছনোর পর আরও কিছু ক্ষণ পরে আসতে বলা হয় চালকদের। তা নিয়ে জিনস্‌ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় চালকদের। শহরের রাস্তায় মাঝেমধ্যে গাড়ি থামিয়ে বেপাত্তা হয়ে যেতেন তদন্তকারীরা। তাতেও বিরক্ত ছিলেন চালকরা। বিনীতবাবুর গাড়ির চালক জানিয়েছেন, পটনায় আসার পর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনাপঁচিশেক লোকের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। তবে লালুর বাড়িতে অভিযানের আগে পর্যন্ত গাড়িতে জিনসের কেনাবেচা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE