Advertisement
E-Paper

ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে মোদী-শি বৈঠক চেয়েছিল কোন দেশ? চিনের দাবি উড়িয়ে দিল ভারত

২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনা সেনাদের সংঘাত দু’দেশের সম্পর্ককে তপ্ত করেছিল। তার পর থেকে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১৫:২১
Narendra Modi Xi Jinping

ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। —রয়টার্স।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আলাপচারিতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠল। চিন দাবি করেছিল, বৈঠক চেয়েছিল ভারত। বেজিংয়ের সেই দাবি উড়িয়ে দিল্লির বক্তব্য ঠিক উল্টো। ভারতের পক্ষে জানানো হয়েছে, চিনই আগে থাকতে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলন চলার মাঝে পার্শ্ববৈঠক হয় শি ও মোদীর। সংবাদসংস্থা এএনআই কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কোনও সরকারি পার্শ্ববৈঠক হয়নি। তবে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মলনের লাউঞ্জে দুই প্রধান সৌজন্যমূলক বার্তালাপ করেছেন। সূত্রের দাবি, ভারতের তরফে নাকি এটা বলা হচ্ছে যে, বেজিংই পার্শ্ববৈঠকের ব্যাপারে ‘অনুরোধ’ করেছিল।

এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাঝে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক আকছার হয়। তবে ভারত-চিনের বর্তমান সম্পর্ক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে এই বৈঠক হয়ে থাকলে তা দু’দেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের কাছেও তাৎপর্যপূর্ণ হত। কিন্তু, ভারতের দাবি, মোদী-শি কথা হলেও সেটা পার্শ্ববৈঠক ছিল না।

বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে মোদী এবং শি-এর কথা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির বাকি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে পরিস্থিতি বিদ্যমান, শি-এর সঙ্গে কথোপকথনে সেই প্রসঙ্গও উঠেছিল।’’

চিনা প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলে, ‘‘শি বলেছেন, চিন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি দু’দেশের নাগরিকদের স্বার্থকেই চরিতার্থ করবে। এবং তা শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়নের জন্যও সহায়ক হবে।’’

২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সংঘাত দু’দেশের সম্পর্ককে তপ্ত করেছিল। যার প্রভাব পড়েছিল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও। তার পর থেকে কূটনৈতিক স্তরে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দিল্লি-বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। অনেকেরই নজর ছিল, জোহানেসবার্গের দিকে। কিন্তু, চিনের দাবি নস্যাৎ করে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কোনও পার্শ্ববৈঠক হয়নি।

Narendra Modi Xi Jinping
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy