Advertisement
E-Paper

দলাইয়ের অনুষ্ঠানে হাজির মোদীর মন্ত্রী

আজ হিমাচলপ্রদেশের ধরমশালায় দলাইয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা, বিজেপি নেতা রাম মাধব ও বিরোধী কংগ্রেসের নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদী।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৩
দলাই লামা।

দলাই লামা।

দলাই লামার নির্বাসনের অনুষ্ঠান নিয়ে ফের অবস্থান বদলাল দিল্লি। ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বা আমলাদের উপস্থিতির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু আজ হিমাচলপ্রদেশের ধরমশালায় দলাইয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা, বিজেপি নেতা রাম মাধব ও বিরোধী কংগ্রেসের নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদী।

দলাই লামার ভারতে নির্বাসনের ৬০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিল্লি ও ধরমশালায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নির্বাসিত তিব্বতি সরকার। সম্প্রতি এ নিয়ে সরকারের একটি নোট সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়। তা থেকে জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানগুলিতে সরকারি কর্তা বা মন্ত্রীদের উপস্থিতি এড়াতে নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। ফলে এ নিয়ে সব সরকারি মন্ত্রক ও দফতরকে একটি চিঠি লেখেন ক্যাবিনেট সচিব পি কে সিন্‌হা। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি বিদেশ মন্ত্রক। তবে দলাই নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের টানাপড়েন দীর্ঘ দিনের। ফলে ডোকলাম-পরবর্তী পর্যায়ে চিনের সঙ্গে ফের টানাপড়েন এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কূটনীতিকদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত তিব্বতি সরকার দিল্লির অনুষ্ঠানটি বাতিলও করে দেয়।

কিন্তু আজ ধরমশালায় চিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। দলাই লামার সঙ্গে ওই মঞ্চে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা, বিজেপি নেতা রাম মাধব ও কংগ্রেসের নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদী। রাম মাধব অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘ভারত ও তিব্বত সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিক থেকে সহযাত্রী। তিব্বতিরা উদ্বাস্তু নন, ভারতের অতিথি।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মাও পরে টুইটারে লেখেন, ‘‘তিব্বতিরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অতিথি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক।’’

কিন্তু হঠাৎ কেন অবস্থান বদল? কূটনীতিকদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ভারতের আকাশে ঢুকেছে চিনা সেনার কপ্টার। লাদাখেও ঘুরে গিয়েছে সেগুলি। ভারতীয় বাহিনীর প্রস্তুতির ছবি তোলাই তাদের লক্ষ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে চিন সম্পর্কে কিছুটা অবস্থান বদলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেছেন কেন্দ্রের কর্তারা। ধরমশালার অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বা কোনও বিদেশপ্রতিমন্ত্রীকে পাঠালে বেজিংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ত। তাই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীকে পাঠিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছে দিল্লি। বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতাও হাজির থাকায় তিব্বত প্রসঙ্গে ভারতের নীতির ধারাবাহিকতাও বোঝানো গিয়েছে।

কিন্তু কূটনীতিকদের একাংশের ধারণা, বার বার অবস্থান কার্যত পুরোপুরি বদলে ফেললে নীতির ধারাবাহিকতা সম্পর্কেই প্রশ্ন ওঠে। চিন নিয়ে সরকার কোন পথে এগোবে তার স্পষ্ট রূপরেখা থাকা প্রয়োজন।

Dalai Lama BJP Dharamshala Mahesh Sharma China দলাই লামা মহেশ শর্মা বিজেপি রাম মাধব সত্যব্রত চতুর্বেদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy