Advertisement
১২ অক্টোবর ২০২৪
Udhayanidhi Stalin

উদয়নিধিকে শিবসেনার আক্রমণ সনাতন-মন্তব্যে

ব্রাহ্মণ্যবাদ, জাতপাত-সহ হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন প্রথা, মতাদর্শ এবং রীতিনীতির সমালোচনায় বরাবরই সরব পেরিয়ারের অনুগামী ডিএমকে নেতৃত্ব।

Udaynidhi Stalin

উদয়নিধি স্ট্যালিন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১১
Share: Save:

‘সনাতন ধর্ম’ সংক্রান্ত মন্তব্যের বিরোধিতা করে এ বারে মুখ খুললেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র গুরুত্বপূর্ণ শরিক উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধির ওই মন্তব্যকে বেশ কড়া সুরেই আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম নিয়ে উদয়নিধির ওই মন্তব্যকে কেউই সমর্থন করেন না এবং দেশকে এ ভাবে ক্রুদ্ধ করার অধিকার কারও নেই।’’

ব্রাহ্মণ্যবাদ, জাতপাত-সহ হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন প্রথা, মতাদর্শ এবং রীতিনীতির সমালোচনায় বরাবরই সরব পেরিয়ারের অনুগামী ডিএমকে নেতৃত্ব। দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র উদয়নিধি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি সনাতন ধর্মকে নিশানা করে বলেন, করোনা-ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির মতো সনাতন ধর্মের মতাদর্শকেও নিকেশ করে ফেলা দরকার। ওই মন্তব্যের পরেই রে রে করে আসরে নামে বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী দলগুলি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ওই মন্তব্যের ‘উপযুক্ত জবাব’ দিতে বলেন বিজেপি নেতৃত্বকে।

জোটে অস্বস্তি এড়াতে কংগ্রেস নেতৃত্ব সামগ্রিক ভাবে ওই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ‘ইন্ডিয়া’র অনেক নেতানেত্রীই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি গোপন করেননি। এই প্রথম সরাসরি উদয়নিধির বিরোধিতা করল ‘ইন্ডিয়া’র কোনও শরিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুত্ববাদকে আদর্শ করে মহারাষ্ট্রে বালাসাহেব ঠাকরে তৈরি করেন শিবসেনা। ফলে স্ট্যালিন-পুত্রের মন্তব্যের সঙ্গে নীতিগত বিরোধ রয়েছে তাদের।

বিজেপি শিবসেনা ভাঙার পর থেকে বিরোধী জোটেই রয়েছেন বাল ঠাকরের পুত্র উদ্ধব। তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সঞ্জয় আজ সনাতন ধর্ম মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নাম না করে ডিএমকে-র নাস্তিকতাবাদী রাজনীতিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ধর্ম নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি তারা নিজেদের এলাকাতেই সীমাবদ্ধ রাখুক।’’এখানেই না-থেমে তিনি বলেন, ‘‘ওই মন্তব্য ব্যক্তিগত হলেও তা ওঁর নিজের কাছেই রাখা উচিত। এ ভাবে গোটা দেশকে ক্রুদ্ধ করার অধিকার কারও নেই। এ সব নিয়ে কারও (উদয়নিধির) ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে এবং সেটাই হয়তো দ্রাবিড় রাজনীতির সংস্কৃতি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE