Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পটকার ভয়ে গ্রামে হাতিরা

পটকার শব্দে ভয় পেয়ে গ্রামে ঢুকছে বুনো হাতির দল। ভাঙছে ঘর। নষ্ট করছে ফসল। এ সবের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীদের দিকে আঙুল তুলছেন ঘাটশিলার প্রত্যন্ত কয়েকটি জনপদের বাসিন্দারা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আর্যভট্ট খান
রাঁচী শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

পটকার শব্দে ভয় পেয়ে গ্রামে ঢুকছে বুনো হাতির দল। ভাঙছে ঘর। নষ্ট করছে ফসল। এ সবের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীদের দিকে আঙুল তুলছেন ঘাটশিলার প্রত্যন্ত কয়েকটি জনপদের বাসিন্দারা।

তাঁদের নালিশ, ঝাড়খণ্ড সীমানার মধ্যে ঢুকে দলমার হাতি তাড়াচ্ছেন পাশের রাজ্যের বনকর্মীরা। জলাশয়ের কাছে বুনো হাতি দেখলেই পটকা ফাটানো হচ্ছে। ক্ষিপ্ত হাতির দল জল খেতে না পেরে গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ঘাটশিলার বন আধিকারিকদের বক্তব্যেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসররাজ হোলিয়াচি এ কথা মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীরা কখনও পড়শি রাজ্যে ঢুকে এমন কাজ করবেন না। গ্রামবাসীরাই হাতি তাড়াতে আতসবাজি ফাটান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

গ্রামগুলি রয়েছে ঘাটশিলার দামপাড়াগড়ে। লাগোয়া এলাকা হল পশ্চিমবঙ্গের কাকড়াঝোড়। ঝাড়খণ্ডের দিকে রয়েছে কয়েকটি জলাশয়। এলাকাবাসী জানান, রাতের দিকে জলাশয়ে আসে দলমার হাতিরা। তাঁদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীরা হাতিদের জল খেতে দিচ্ছেন না। পটকা ফাটিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। ক্ষিপ্ত হাতিরা ঢুকছে ওই গ্রামগুলিতে।

ঘাটশিলায় বন দফতরের রেঞ্জার এস কে ভার্মা জানিয়েছেন, দলমা থেকে পশ্চিমবঙ্গে যেতে ওই ‘করিডোর’ই ধরে হাতিরা। জলাশয়ে জল খেয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে তারা। তিনি জানান, বুনো হাতিদের রুখতে পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীরা জলাশয়ের আশপাশে পটকা ফাটাচ্ছেন বলে তাঁর কাছেও অভিযোগ এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের বন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ঘাটশিলার প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ বালমুচু বলেন, ‘‘দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Elephant Firecrackers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE