ছক কষা শুরু হয়ে গিয়েছিল চার বছর আগে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই অমিত শাহ হুঙ্কার দেন, বিজেপিকে তার দুর্বল এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে দিতে হবে। আরএসএসের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়, সুনীল দেওধর নামের এক প্রচারককে পাঠানো হবে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ছোট্ট রাজ্যটিতে।
নিজে মরাঠি হয়েও সুনীল যত্ন করে বাংলা শিখলেন মাস্টারমশাই রেখে। ত্রিপুরার ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসের নেতারা তখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছিলেন। সুনীল তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মী, যুবক-মহিলাদের আনতে লাগলেন বিজেপিতে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব ছিলেন। কিন্তু আজকের জয়ের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ সুনীলই।
এ রাজ্যে বাম শাসন সুদীর্ঘ। ১৯৮৮-তে রাজীব গাঁধীর প্রতিনিধি হিসেবে সুনীলের ভূমিকাই পালন করেছিলেন সন্তোষমোহন দেব। ১৯৭৭ থেকে ত্রিপুরায় টিকে থাকা বাম শাসনকে পাল্টে দিয়েছিলেন। বাঙালি বনাম উপজাতি হিংসা চলছিল তখন। উপদ্রুত এলাকা আইন প্রয়োগ করে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট হয় ত্রিপুরায়। তার পর পাঁচ বছর সুধীর মজুমদার, সমীর বর্মণের টালমাটাল সরকার। এক বছরের রাষ্ট্রপতি শাসন। ১৯৯৩ থেকে আবার সিপিএম। প্রথমে উপজাতি নেতা দশরথ দেব, তার পরে মানিক সরকার।