নভি মুম্বইয়ের ঘানসোলি গ্রামে চলছে বৃদ্ধ ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের বাড়ি গিয়ে কোভিড টিকাকরণের কাজ। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ লক্ষ টাকার মেডিক্লেম পলিসি করানো ছিল দিল্লির বাসিন্দা গুলশন কুমার গয়ালের। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। তাঁর চিকিৎসায় ৫.৩৩ লক্ষ টাকা খরচ হলেও গুলশনের পরিবারকে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা দিয়েছিল মাত্র ১.৩১ লক্ষ টাকা। তাদের যুক্তি ছিল, দিল্লি সরকার কোভিডের চিকিৎসার খরচ বেঁধে দেওয়ায় হাসপাতালের বিল অত বেশি হতে পারে না। এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছেন গুলশনের স্ত্রী সুনীতা। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, দিল্লি সরকার, ইনশিয়োরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএ) এবং শালিমার বাগের ফর্টিস হাসপাতালকে নোটিস দিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বিচারপতি রেখা পাল্লি।
২০২০ সালের জুনের শেষ সপ্তাহে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ৭ জুলাই মারা যান গুলশন। হাসপাতালের ৫.৩৩ লক্ষ টাকার বিল তাঁর স্ত্রীকে মেটাতে হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ১.৯৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে সুনীতাকে জানান, ওই টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমা সংস্থা চিকিৎসার পুরো খরচ দিতে অস্বীকার করে জানায়, দিল্লি সরকার চিকিৎসার খরচ বেঁধে দেওয়ার পরে মোট বিল ১.৪৪ লক্ষের বেশি হওয়া উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুনীতা। তাঁর আর্জি, হয় হাসপাতাল তাঁর টাকা ফেরত দিক। অন্যথায় বিমা সংস্থা বিল মেটাক। সেই সঙ্গে বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক আইআরডিএ। হাসপাতাল ও বিমা সংস্থার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন তিনি। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জবাব তলব করেছে কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর।
দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আজ কিছুটা কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজার ছুঁয়েছে। তবে সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশের উপরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সুখবর মহারাষ্ট্রে। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যের ভন্ডারা জেলা ১৫ মাস পরে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ওই জেলার একমাত্র কোভিড রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে গত ২৪ ঘণ্টায় এক জনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy