Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নীতীশের সঙ্গে মঞ্চ, এড়িয়ে গেলেন তেজস্বী

গত কয়েক দিন ধরে জেডিইউয়ের তরফে এই নিয়ে আরজেডির উপর লাগাতার চাপ তৈরি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, আজ দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নীতীশ-বিজেপি ‘কম্বিনেশন’-এর প্রশংসায় সরব হওয়ায় চাপ বেড়েছে বিহার রাজনীতিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৪:১১
Share: Save:

হোটেল-জমি লেনদেন কাণ্ডে সিবিআই-এর আনা এফআইআর সম্পর্কে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে প্রকাশ্যে ‘তথ্যনিষ্ঠ ব্যাখ্যা’ দেওয়ার জন্য জেডিইউয়ের তরফে চার দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আজই ছিল চার দিনের সেই ‘সময়সীমার’ শেষ দিন। গত কয়েক দিন ধরে জেডিইউয়ের তরফে এই নিয়ে আরজেডির উপর লাগাতার চাপ তৈরি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, আজ দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নীতীশ-বিজেপি ‘কম্বিনেশন’-এর প্রশংসায় সরব হওয়ায় চাপ বেড়েছে বিহার রাজনীতিতে।

শেষ পর্যন্ত এই সার্বিক চাপের মুখেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এক মঞ্চে হাজির হলেন না উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আজ পটনায় ‘ওয়ার্ল্ড ইউথ স্কিল ডে’-র সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই ছিল তেজস্বীর চেয়ার। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগে, প্রথমে উদ্যোক্তারা তেজস্বীর নাম-ফলকটি ঢেকে দেন। পরে নির্দিষ্ট চেয়ারটিও সরিয়ে নেন। এর পরেই শুরু হয় জল্পনা। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে নামতেই সাংবাদিকরা তাঁকে ছেঁকে ধরেন। তেজস্বীর গরহাজিরা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন
করলে খোস-মেজাজে থাকা নীতীশ হেসে পাশ কাটান। সাংবাদিকদের ‘স্কিল’ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন।

এ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল রাজ্য শ্রম দফতর। এই দফতরটির মন্ত্রী আরজেডির বিজয়প্রকাশ। শ্রমমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘তেজস্বী যাদব কেন আসেননি আমি জানি না।’’ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর এক পাশে ছিলেন শ্রমমন্ত্রী, অন্য পাশে জেডিইউয়ের মন্ত্রী রাজীবরঞ্জন সিংহ। অনুষ্ঠান চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজীবরঞ্জনের সঙ্গে চেয়ার বদল করেন। তা নিয়েও জল্পনা, নীতীশ কি আরজেডির থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন? যদিও শিল্পমন্ত্রী জয়কুমার সিংহ বলেন, টিভিতে একটি তথ্যচিত্র ভাল করে দেখার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী আসন বদল করেন।

এই পরিস্থিতিতে বিহার রাজনীতির সাম্প্রতিক জটিলতা নিয়ে সরাসরি মুখ না খুলেও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ দিল্লিতে সার্বিক বিষয়টিকে আর একটু উস্কে দিয়েছেন। এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ, নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সাবেক জোটের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘বিহার তখন ‘বিমারু’ রাজ্যের তালিকায় ছিল। নীতীশ-বিজেপি সরকারই বিহারকে উন্নয়নের পথে নিয়ে আসে।’’ অমিতের এই বক্তব্য রাজ্য-রাজনীতির টানাপড়েনে বাড়তি ইন্ধন জোগাবে বলে ধারণা।

সোমবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আগামী কাল জেডিইউ পরিষদীয় দলের বৈঠক। কিন্তু জেডিইউ সূত্রের বক্তব্য, বৈঠকে তেজস্বী প্রসঙ্গ উঠবে। কারণ চার দিনের সময়সীমা আজ রাতেই শেষ হচ্ছে। বৈঠকে দলের বরিষ্ঠ নেতাদেরও ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি, কাল আরজেডি ও কংগ্রেসের বিধায়করাও বৈঠকে বসবেন। জোড়া বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE