সাংবাদিকদের মুখোমুখি ভি সি সজ্জনার। শুক্রবার। পিটিআই
হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের নেতৃত্ব যিনি দিয়েছেন, সাইবারাবাদের সেই পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনারকে ‘নায়ক’-এর মর্যাদা দিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরুদ্ধ মতও রয়েছেছে। নেট নাগরিকদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, ২০০৮ ও ২০১৫ সালেও সাবেক অন্ধ্রপ্রদেশ, অধুনা তেলঙ্গানায় দু’টি এনকাউন্টারে ‘হামলা-আত্মরক্ষা’র যুক্তি দিয়েছিল পুলিশ। তার একটির নেতৃত্বে ছিলেন সজ্জনারই।
২০০৮ সালে অন্ধ্রের ওয়াড়াঙ্গলের এসপি ছিলেন সজ্জনার। ওই সময় দুই কলেজছাত্রীর উপরে অ্যাসিড হামলা হয়েছিল। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এক ভোর রাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে এনকাউন্টারে মারা যায় তারা। পুলিশের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তেরা হাত বোমা নিয়ে হামলা চালানোর সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশকর্মীরা গুলি চালিয়েছিলেন।
হামলা ও আত্মরক্ষার যুক্তি শোনা গিয়েছিল, ২০১৫-র এপ্রিলে নালগোন্ডায় এনকাউন্টারের ঘটনাতেও। হত্যা করা হয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বিকারুদ্দিন আহমেদ-সহ পাঁচ জনকে। পুলিশ জানিয়েছিল, আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বিকারুদ্দিন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থামাতে বলে। তার পরে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার স্বার্থেই হত্যা করা হয়েছিল তাদের। পরে বিকারুদ্দিনের বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন, হাতকড়া পরানো শিকলে বাঁধা ব্যক্তি কী ভাবে অস্ত্র কেড়ে নিতে পারে?
১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস সজ্জনারের নাম শিরোনামে এসেছিল মাওবাদী নেতা নঈমুদ্দিনকে এনকাউন্টারের ঘটনায়। অনেকে অভিযোগ করেন, ওই এনকাউন্টার ‘সাজানো’। দুঁদে পুলিশ অফিসারের কর্মজীবনে একাধিক এনকাউন্টারের নজির রয়েছে। তেলঙ্গানায় গত কয়েক বছরে সাতটি এনকাউন্টারে বেশ কয়েক জন মাওবাদী ও আদিবাসীকে হত্যা করেছে পুলিশ।
কলিউডের অভিনেত্রী কস্তুরী এক সাক্ষাৎকারে আজকের এনকাউন্টারের ঘটনায় সজ্জনারের সঙ্গে তুলনা টানেন দক্ষিণী নায়ক বিজয়ের সঙ্গে। যিনি রুপোলি পর্দায় খুন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের এ ভাবেই সাজা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy