রীতি অনুযায়ী গ্রামের মাঝখানে সকলে জমায়েত হন। নতুন জামাইকে নিয়ে আসা হয় সেখানে। তার পর তাঁকে গাধার পিঠে চাপিয়ে গ্রামেরই হনুমান মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ১১টায় শুরু হয় এই রীতি।
প্রতীকী ছবি।
কখনও শুনেছেন নতুন জামাইকে গাধার পিঠে করে ঘোরানো হয়? বিশ্বের অন্য কোনও দেশে নয়, এ দেশেই রয়েছে এমন আজব রেওয়াজ।
মহারাষ্ট্রের বীড়ের বীরা গ্রামের বাসিন্দারা গত ৯০ বছর ধরে এমন রীতিনীতি পালন করে আসছেন। এর জন্য হোলির দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। শুধু গাধার পিঠে ঘোরানোই নয়, জামাইকে দেওয়া হয় নতুন পোশাকও।
হোলির তিন-চার দিন আগে থেকেই শুরু হয় নতুন জামাইয়ের খোঁজ। হোলির আগে জামাই যাতে গ্রাম ছাড়তে না পারেন, তা দেখতে জামাইয়ের খোঁজ পাওয়ার পরই নজরবন্দি করেন গ্রামবাসীরা। আনন্দরাও দেশমুখ নামে এক ব্যক্তি এই রীতি চালু করেন। তাঁর জামাইকেই প্রথম গাধার পিঠে চাপানো হয়। সেই থেকে এই রীতি চলে আসছে। আজও নতুন জামাইকে গাধার পিঠে চাপিয়ে সেই রীতি পালন করা হয়।
রীতি অনুযায়ী গ্রামের মাঝখানে সকলে জমায়েত হন। নতুন জামাইকে নিয়ে আসা হয় সেখানে। তার পর তাঁকে গাধার পিঠে চাপিয়ে গ্রামেরই হনুমান মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ১১টায় শুরু হয় এই রীতি। গাধার পিঠে চেপে হনুমান মন্দিরে পৌঁছনোর পর গ্রামবাসীরা তাঁকে তাঁর পছন্দমতো পোশাক কিনে দেন। শুধু পোশাক নয়, এই সময় শ্বশুরের কাছ থেকে সোনার আংটিও উপহার পেয়ে থাকেন জামাই।
নতুন জামাইকে গাধার পিঠে ঘোরানো নিয়ে নানা তর্কবিতর্ক থাকলেও এই রীতির মাধ্যমে নতুন জামাইকে অপমান করা হচ্ছে, বিষয়টা তেমন নয় বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy