মদ বিক্রেতা সন্দেহে দুই যুবককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল পুলিশ। এমনই অভিযোগ উঠেছে বিহারের সারন জেলার দাউদপুরের দুধেলা গ্রামে। মারধরের ভিডিও ছড়িয়েছে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে বিহারের রাজনীতিতেও। প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেফতার করে আদালতে না নিয়ে গিয়ে কেন দু’জনকে প্রকাশ্যে এ ভাবে মারধর করা হল? এ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে দায় ঝাড়ছেন রাজ্যের পুলিশকর্তারা।
কয়েক দিন ধরে অভিযোগ উঠছিল, মদ সরবরাহ রুখতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। মদ খাওয়া ও বিক্রির অভিযোগে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। লক্ষাধিক লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
এমনই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠছিল, মদ সরবরাহকারীদের ধরে বেধড়ক মারধর করছে পুলিশ। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে হাত-পা। ওই সব ‘অপারেশনের’ পিছনে সাদা পোশাকের পুলিশ রয়েছে বলে নালিশ জানায় বিরোধী শিবির। গত কাল বিকেলে সারনের ওই ঘটনার ছবি ইন্টারনেটে ছড়াতে আরও সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ সরবরাহকারী সন্দেহে দু’জনকে ধরেছিলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের মাঠ দিয়ে দুই যুবক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। কয়েক জন গ্রামবাসী তাদের ধরেন। তল্লাশিতে কয়েক বোতল মদ মেলে। থানায় খবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার বদলে পুলিশ দু’জনকে গাছে বেঁধে দেয়। এর পরে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এ সব দেখে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে আটকান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করছে খোদ পুলিশই। তবে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশের কার্যত কিছু করার থাকছে না। মদ পাচার কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কোনও থানা এলাকায় মদ সরবরাহের খবর প্রশাসনের উপরমহলে পৌঁছলে থানার পুলিশকর্মীদের চাকরি নিয়ে টানাটানি আশঙ্কাও রয়েছে। সেই ভয়ে অনেক সময়ই মদ পাচারকারীদের সরকারি ভাবে গ্রেফতার না করে, মারধর করে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy