(বাঁ দিকে) তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্র (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা-বিধানসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ নিয়ে দেশকে পথ দেখিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল (যার পোশাকি নাম ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’) সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে এই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের আর এক সাংসদ মহুয়া মৈত্র বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা সংরক্ষণ বিলের মা।’’
মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলকে দেখে দেশের শেখা উচিত বলে বুধবার দাবি করেন কাকলি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, কেন ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া মহলা সংরক্ষণ বিল লোকসভায় পাশ করাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক যুগ সময় লেগে গেল। মমতাকে ‘মহিলা সংরক্ষণের মা’ বলে চিহ্নিত করে কাকলি বলেন, ‘‘লোকসভায় তৃণমূলের মহিলা সাংসদের সংখ্যা ৯। অর্থাৎ আমাদের ৪০ শতাংশ সাংসদ মহিলা। বিজেপির মহিলা সাংসদের সংখ্যা মাত্র ১৩ শতাংশ।’’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৫০ জন মহিলা প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছিল দাবি করে কাকলির মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের টিকিটে জিতে ৩৪ জন মহিলা প্রার্থী বিধায়ক হয়েছেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভায় আট জন মহিলাকে স্থান দিয়েছেন। বিজেপি ১৬টি রাজ্যে সরকার চালালেও একটিতেও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নেই।’’
পশ্চিমবঙ্গে সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের জয়ীদের মধ্যে ৫৩.৬৬ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪২.৯৭ শতাংশ এবং গ্রাম পঞ্চায়েত বিজয়ীদের ৩৫.৬৬ শতাংশ মহিলা বলে দাবি করে কাকলি জানান, জাতীয় পর্যায়ের হিসাবে পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের এই হার সর্বোচ্চ। মহুয়া জানান, তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদগুলিতেও মহিলারা অনেক বেশি সংখ্যায় রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy