নিজের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে লঘু না-করে সুকৌশলে কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের ভোটাভুটিতে শাসক দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আজ ভোট দিল তাঁর দল। অথচ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নিজে প্রার্থী দিলেন না। দিনের শেষে বুঝিয়ে দিলেন যে কংগ্রেসের ম্যানেজারদের তৎপরতার অভাবেই হারতে হল বিরোধী পক্ষকে। স্পষ্ট হয়ে গেল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ঐক্যের ফাটল।
সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা স্পষ্ট, বিরোধী ঐক্য মসৃণ করতে হলে মমতাকে আগাগোড়া সঙ্গে রেখে এবং যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই তা করতে হবে। রাহুল কর্মসূচি স্থির করে দেবেন এবং তৃণমূল তা অনুসরণ করবে এমন শর্তে আদৌ পা দিতে চান না মমতা।
অন্য দিকে, কংগ্রেস শিবিরের যুক্তি, এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সমস্ত বিরোধী দলকে তারা সঙ্গে নিয়ে চলেছে। ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী কে হবেন তা ঠিক করতে যে প্যানেল তৈরি হয়, তাতেও তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের রাজ্যসভার নেতারা ছিলেন। মমতাকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুরোধও করা হয়েছিল প্রার্থী দেওয়ার জন্য।