উদ্ধব ঠাকরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
দেশে আর গণতন্ত্র নেই— নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শিবসেনার নাম এবং প্রতীক খুইয়ে বললেন দলের প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। শুক্রবার রাতেই কমিশন জানিয়েছে, উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার অংশ আর শিবসেনা নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে না। ব্যবহার করতে পারবে না দলের তিরধনুক প্রতীকটিও। সেই ঘোষণার পরই রাত সাড়ে আটটার সময় একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন উদ্ধব। সেখানে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরং এ বার দেশে একনায়ক তন্ত্র ঘোষণা করুন। কারণ দেশে গণতন্ত্রের কণামাত্র অবশিষ্ট নেই।’’ একই সঙ্গে অবশ্য ঠাকরে এ-ও জানিয়েছেন যে, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হাল ছাড়ছেন না। বরং তাঁর নেতৃত্বাধীন শিবসেনার সৈনিকরা এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। এবং তাঁদের বিশ্বাস সেখানে সুবিচার পাবেন তাঁরা।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক তোপ দাগেন উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগেই এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিলেন, শিবসেনার নাম এবং প্রতীক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত তাঁদের পক্ষে আসবে।’’ মহারাষ্ট্রে এখন একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং বিজেপিরই জোট সরকার। উদ্ধবের প্রশ্ন, ‘‘ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা আগে থেকে জানলেন কী করে? তবে কি এই সিদ্ধান্ত একটি পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্ত?’’ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরিই আক্রমণ করে উদ্ধব বলেন, ‘‘কমিশন পুরো বিষয়বস্তুটাকেই একটি স্বস্তা মজায় পরিণত করল। ওরা আমাদের কাছে নথি চাইল। সমর্থনের প্রামাণ্য তথ্য চাইল। আমরা সেই সব কিছুই দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, তারা কী করবে, তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। নির্বাচন কমিশন যা করেছে তা আদতে গোবর ভক্ষণের সমান। তবে কমিশন যখন ঠিকই করেছিল তাদের গোবর চাই, তাহলে এই স্বস্তা নাটক কেন করল?’’
শিবসেনাকে এ ভাবে রুখে দেওয়া যাবে না এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়ে উদ্ধব তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে যেমন বিচারপতিদের বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে নির্বাচন করা হয়। তেমনই নির্বাচন কমিশনেও বিরোধী দলগুলির মতামত নিয়ে নির্বাচন হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy