বুধবার ইউক্রেনের কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছিল, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের দেশে ফেরাতে আরও বিমান পাঠানো হচ্ছে। দূতাবাসের টুইট-বার্তায় লেখা হয়, ‘বিমানের টিকিটের অপ্রতুলতার বিষয়ে ভারত সরকার অবহিত।’
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মহড়ার জেরে উত্তেজনা। ছবি: রয়টার্স।
তিন দিনের মধ্যে তিন বার বক্তব্য বদলাল কেন্দ্র! ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়া ভারতীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে।
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের তাৎক্ষণিক ভাবে সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই কোনও বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরার যে সীমিত সংখ্যক উড়ান চালু হয়েছে, সেগুলির সংখ্যা এবং কোভিড পরিস্থিতিতে যাত্রীর সংখ্যা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় পরিচালকদের (উড়ান পরিষেবা সংস্থা) ভারত-ইউক্রেন চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’
বুধবার ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছিল, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের দেশে ফেরাতে আরও বিমান পাঠানো হচ্ছে। দূতাবাসের টুইট-বার্তায় লেখা হয়, ‘বিমানের টিকিটের অপ্রতুলতার বিষয়ে ভারত সরকার অবহিত। তবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শীঘ্রই আরও ফ্লাইটের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।’
বর্তমানে, ইউক্রেনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, এয়ার আরবিয়া, ফ্লাই দুবাই, কাতার এয়ারওয়েজ ইত্যাদি উড়ান পরিষেবা সংস্থা ইউক্রেনের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, শীঘ্রই এয়ার ইন্ডিয়া-সহ আরও কয়েকটি বিমান সংস্থা সেই তালিকায় শামিল হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আশ্বাসবাণীতে কার্যত জল ঢেলে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রক।
ঘটনাচক্রে, বিদেশমন্ত্রকেরই মঙ্গলবারের একটি নির্দেশিকার জেরে ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে সে দেশ ছাড়ার হিড়িকের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। ওই নির্দেশিকায় ইউক্রেনে বাসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরার বলা হয়েছিল। বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল ভারতীয় পড়ুয়াদের কথা।
অরিন্দম অবশ্য বৃহস্পতিবারও জানিয়েছেন, তাঁরা বিবেচনা করেই ওই নির্দেশিকার জারি করেছিলেন। সংবাদ সংস্থাকে এ বিষয়ে তাঁর বিবৃতি, ‘আমরা যখন কোনও নির্দেশিকা জারি করি, সমস্ত দিক মূল্যায়ন করেই করি। ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং সেখানকার ভারতীয় নাগরিক ও ছাত্রদের বিষয়টি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy