ফের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নামল বেকারত্বের পরিসংখ্যানে। এক দিকে সিএমআইই-র রিপোর্ট বলেছে, দেশে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৭.৫%। কাজ খুঁজতে গিয়ে সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। অন্য দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রিপোর্টে প্রকাশ, বিশ্বে অর্থনীতি ঝিমিয়ে। কাজ করার মতো লোক বাড়ছে, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে নতুন কাজ তৈরি হচ্ছে না। তাদের পূর্বাভাস, এ বছর সারা বিশ্বে বেকারত্ব বাড়বে প্রায় ২৫ লক্ষ। এই মুহূর্তে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টা কাজ করছেন বা কাজের বাজারে পা রাখার যথেষ্ট সুযোগই পাচ্ছেন না।
সিএমআইই বলেছে, দেশে ২০১৭ সালের মে-অগস্টের পর থেকে টানা সাত দফা বেকারত্বের হার বেড়েছে। এনএসএসও-ও বলেছিল নোটবন্দির পরে ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল সাড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ (৬.১%)। পরে সামনে আসে, গ্রামে প্রকৃত (মূল্যবৃদ্ধি বাদে) আয় বাড়ছে না বললেই চলে। সিএমআইই-ও বলছে, গত চার মাসে বেকারত্ব গ্রামে ৬.৮%। আইএলও কর্তার দাবি, বিশ্বে কাজ সংক্রান্ত বৈষম্য বহু মানুষের ভাল চাকরি পাওয়ার পথে অন্তরায়। দিনে ৩.২০ ডলার খরচ করতে না পারা কর্মী ৬৩ কোটি।
দেশের ছবি