রাস্তার সংস্কার নিয়ে বিবাদের জেরে উত্তেজনা ছড়াল করিমগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে। কয়েক দিন ধরে মাঝেমধ্যেই সড়কে বাঁশ ফেলে যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে অবরোধ করেন। ফাকুয়া, বিনোদিনী এলাকার মানুষ যাতে পূর্ত সড়ক দিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্যই ছিল অবরোধ।
আজ বড় গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সেখানে বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ডিএসপি (সদর) আর শর্মা। বিবদমান গ্রামগুলির বাসিন্দারা বিচারসভায় মীমাংসাসূত্র খোঁজার কথা জানান। দু’পক্ষই ১০ হাজার টাকা করে জামানত জমা দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বারইগ্রাম-চেরাগিবাজার (পশ্চিমাঞ্চল) এলাকার একটি অটোরিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে বারইগ্রামে। বিনোদিনী-এরালিগুলেতেও (পূর্বাঞ্চল) একটি অটোরিকশা স্ট্যন্ড রয়েছে। দু’টি স্ট্যান্ড থেকেই ফাকুয়া-বিনোদিনীতে অটোরিকশা যাতায়াত করে। অভিযোগ, পূর্ত বিভাগের বেহাল রাস্তা মেরামতির জন্য পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলের অটো-চালকদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চল তাতে রাজি হয়নি। পূর্বাঞ্চলের লোকেরা নিজেরাই চাঁদা তুলে পূর্ত সড়ক মেরামতি করান। এর পরই সেই এলাকার বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন, পশ্চিমাঞ্চলের কোনও গাড়ি পূর্ত সড়ক দিয়ে তাঁরা যেতে দেবেন না। সে জন্য পূর্ত সড়কে বাঁশ রেখে অবরোধ করা হয়। অভিযোগ, বদলা হিসেবে পশ্চিমাঞ্চলের অটোরিকশা চালকরা পূর্বাঞ্চলের অটোস্ট্যান্ড ভেঙে দেন। উত্তেজনার পারদ ক্রমশই চড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy