জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ মাসের পর মাস জল সরবরাহ করছে না হাফলং শহরে। তার জেরে নদীর অপরিশোধিত জল ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী। তাতে প্রকোপ বাড়ছে পেটের রোগের। সব চেয়ে বেশি সঙ্কটে হাফলং লাগোয়া গ্রামগুলির। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক দীপালি বর্মন দাবি করেছেন, আন্ত্রিক আক্রান্ত কোনও রোগীর খবর তাঁরা পাননি। গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বীরভদ্র হাগজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হাফলঙয়ে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ‘মাস্টার প্রোজেক্ট’ করবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের নালিশ, বিধায়ক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করেননি বীরভদ্রবাবু। এ বিষয়ে বীরভদ্রবাবু জানিয়েছেন, তিনি হাফলং শহরে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জল-সঙ্কট মেটাতে চেষ্টা করছে সরকার।
গরম পড়তে না পড়তেই হাফলংয়ে জল-সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে। কলেজ রোড, হাগজার নগর, মহাদেব টিলা, কালীবাড়ি রোড অ্যাপোলে রোড, বইলডোরা, সরকারি বাগান, লোয়ার হাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকায় মিলছে না জল। জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ জানিয়েছে, হাফলং কানাইবস্তিতে কৃষ্ণনগর জলপ্রকল্পের পাম্প বিকল হওয়ায় শহরে জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। যন্ত্রটি কবে ঠিক হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট জবাব মেলেনি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এখন সংপিজাংয়ে দিয়ুংরাংখল প্রকল্প থেকে হাফলংয়ে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের অনেক এলাকায় প্রায় দেড় মাস জল সরবরাহ করেনি জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ। জল সরবরাহে দ্রুত কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তৈরি করা না হলে আগামী দিনে জল-সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy