কোনও আশা নেই সরকার বাঁচানোর। ইস্তফা দেবেন, ভেবেই এসেছেন। তবে তার আগে, পরের ভোটের জন্য প্রথম বক্তৃতাটি দিয়ে রাখার এমন ভাল মঞ্চ আর কী হতে পারে! লাইভ দেখছে গোটা দেশ। তার চেয়ে বড় কথা, গোটা রাজ্য কন্নড়ে শুনছে তাঁর আবেগবিহ্বল বক্তৃতা। সেই সুযোগকে আজ পুরোদস্তুর কাজে লাগালেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। লক্ষ্য দু’টি। এক ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। দুই, ২০২৩-এ বা তার আগে যে কোনও সময়ে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন।
এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইয়েদুরাপ্পা আজ বিধানসভায় তাঁর আট মিনিটের বক্তৃতায় তুলে ধরলেন তাঁর স্বপ্নভঙ্গের কথা। জানালেন, ক্ষমতায় থাকলে কৃষিঋণ মকুব থেকে সেচের ব্যবস্থা— কত কী করতেন রাজ্যের কৃষকদের জন্য। কেমন সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলতেন কর্নাটককে। একই সঙ্গে ঘোষণা করলেন, সংখ্যার সামান্য ঘাটতিতে এ বারে স্বপ্নভঙ্গ হলেও লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ইয়েড্ডির বার্তা, ভরসা রাখুন, এই পরাজয়ের শোধ তুলব ২০১৯-এ। রাজ্যের ২৮টি আসন তুলে দেব মোদীর হাতে। সেই লক্ষ্যেই কাল থেকেই নেমে পড়ব। রাজ্যে প্রান্তে প্রান্তে ঘুরব। বিচার চাইতে সাধারণ মানুষের কাছে যাব।’’
নিজেকে শহিদ হিসেবে তুলে ধরতে ইয়েড্ডি মনে করান, একটা সময়ে এই বিধানসভায় দু’জন মাত্র বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। তিনি তাঁদের এক জন। নিরন্তর রাজ্যবাসীর জন্য কাজ করে গিয়েছেন। বিগত সিদ্দারামাইয়ার আমলেও যা ছিল অব্যাহত। জলসঙ্কট মেটাতে অলমাট্টি বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। অনুমতি মেলেনি। তবে এই সব কাজ তিনি করে যাবেন। এ বার না হোক পরের বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy