E-Paper

শ্বশুরবাড়িতে বধূর আইনি অধিকার: কোর্ট

বিচারপতি দয়াল জানিয়েছেন, সুরক্ষাকবচ কাজে লাগিয়ে ওই মহিলা যাতে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে চাইতে না-পারেন, সেই উদ্দেশ্যই ওই এফআইআর করা হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৮
delhi high court.

দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

শ্বশুরবাড়িতে ঢোকাটা কোনও মহিলার আইনি অধিকারের মধ্যেই পড়ে এবং তা প্রয়োগের যাবতীয় অধিকারও তাঁর রয়েছে— একটি মামলার সূত্রে এমন পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের। এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরের করা এফআইআর খারিজ করে বিচারপতি অনীশ দয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ সম্প্রতি এ কথা বলেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে; অভিযোগকারিণীকে বেকায়দায় ফেলতেই পাল্টা অভিযোগ আনা হয়।

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে ওই মহিলার বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই থেকে ওই মহিলা বাপের বাড়িতেই থাকেন। ২০২২-এ অভিযোগের ভিত্তিতে এক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর সুরক্ষার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, যথাযথ আইনি পথে না-হেঁটে ওই মহিলাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে গেলেও সেখানেও আইনি-সুরক্ষার নির্দেশ বহাল থাকে। তার পরে পরেই ওই মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুর অনধিকার প্রবেশ এবং চুরির অভিযোগে এফআইআর রুজু করেন।

বিচারপতি দয়াল জানিয়েছেন, সুরক্ষাকবচ কাজে লাগিয়ে ওই মহিলা যাতে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে চাইতে না-পারেন, সেই উদ্দেশ্যই ওই এফআইআর করা হয়। যা খারিজের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যৌথ-সম্পত্তিতে বসবাস করার ‘অনস্বীকার্য অধিকার’ তাঁর রয়েছে এবং সঙ্গে রয়েছে আইনি সুরক্ষাকবচও। সুতরাং, শ্বশুরবাড়িকে অন্যের সম্পত্তি হিসাবে গ্রাহ্য করার যুক্তি ধোপে টেঁকে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Delhi High Court woman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy