জীবনদাতা: দ্বারভাঙার হাসপাতালে সদ্যোজাতকে রক্তদান আশফাকের। নিজস্ব চিত্র।
এক সদ্যোজাতকে বাঁচাতে রমজানের উপবাস ভেঙে রক্ত দিলেন দ্বারভাঙার এক তরুণ।
দিন দুয়েক আগে দ্বারভাঙার একটি নার্সিংহোমে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন এসএসবি জওয়ান রমেশকুমার সিংহের স্ত্রী আরতিদেবী। সেখানেই নবজাতকের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের পরেই নবজাতকের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাকে নার্সিংহোমের এনআইসিইউ-তে রাখা হয়। চিকিৎসকেরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ওই সদ্যোজাতকে বাঁচাতে গেলে ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। সাধারণ ভাবে ‘নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত পাওয়া সহজ নয়। পরিবারের চেনাজানা কারও রক্তই আবার ওই গ্রুপের নয়।
পরিবারের সদস্যরা তাই গোটা বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুক এবং বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আবেদন করেন। বিভিন্ন জায়গায় এসএসবি জওয়ানদেরও বার্তা পাঠানো হয়। গতকাল দ্বারভাঙারই বাসিন্দা মহম্মদ আশফাক ফেসবুকে সেই আর্তিভরা বার্তা দেখেন। আশফাকের রক্তের গ্রুপ ‘ও নেগেটিভ’। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রমেশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পৌঁছে যান নার্সিংহোমে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু রমজানের উপবাস থাকায় তাঁরা তাঁর রক্ত নিতে পারবেন না বলে জানান। উপবাসের মধ্যে রক্ত দিলে আশফাকই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। নবজাতকের প্রাণ বাঁচাতে উপবাস ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। হাসপাতালেই খাবার খান।
নির্ধারিত সময়ের পরে আশফাকের রক্ত নেওয়া হয়। সেই রক্ত দেওয়া হয় সদ্যোজাতকে। বেঁচে যায় শিশুটি।
আরও পড়ুন: বাংলা বা ভারত, ন্যাপকিন নেই অর্ধেক মেয়ের!
ফোনে আশফাক বলেন, ‘‘রোজা অন্য সময়ে ফের রাখা যেতে পারে। আসলে আল্লাই আমাকে দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিয়েছেন।’’ পরিবারের সদস্যেরাও আশফাকের উদারতায় কৃতজ্ঞ। তাঁদের কথায়, ‘‘ধর্মের নামে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেন যাঁরা, তাঁরা আশফাকের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy