বদায়ুঁ গণধর্ষণের ঘটনা এখনও সকলের মন থেকে মুছে যায়নি। রাজ্যে এক দিকে মহিলাদের উপর ধর্ষণ আর অত্যাচারের ঘটনা বাড়ছে। বিধানসভায় নারী নির্যাতন নিয়ে হইচই হয়েছে কি না তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। কিন্তু এর মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়। বিধায়কদের বক্তব্য মাসিক পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলছে না তাঁদের। এমনকী অফিসে বা বাড়িতে অতিথি এলে চা-সিঙাড়া খাওয়ানোর পয়সাটুকু জোগাড় করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিধায়কের সংখ্যা মোট ৪০৩ জন। তাঁদের মধ্যে ২৭১ জনই আবার কোটিপতি। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিধায়কদের দাখিল করা তথ্যই জানাচ্ছে সে কথা। পরিসংখ্যান বলছে, কোটিপতিদের মধ্যে শাসক দল সমাজবাদী পার্টিরই ১৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। তার পিছনে রয়েছে বিএসপি (৬৩), বিজেপি (৩২), কংগ্রেস (১৮) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল (৭)। রাজ্যের বিধায়কদের শেষ বেতন বেড়েছিল ২০১০ সালে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ২০১০-এর ৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করেছিলেন, তিরিশ হাজার থেকে রাজ্যের বিধায়কদের বেতন বাড়িয়ে পঞ্চাশ হাজার করা হচ্ছে। রাজ্যের সব বিধায়ক তখন এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
বিজেপি বিধায়ক সুরেশ খন্নার দাবি, বেতন বাড়াতে বলে তাঁরা অন্যায় কিছু করছেন না। তাঁর উষ্মা আমলাদের বিরুদ্ধে। আমলারা বিধায়কদের থেকে বেশি বেতন পান। আর তাতেই আপত্তি খন্নার। বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর দাবি নিয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ঠিক কী বলছেন?
তাঁর মন্ত্রিসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন অখিলেশ। তবে এখনও এ নিয়ে কিছু সরকারি ঘোষণা হয়নি। সমালোচকেরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী-পদে বহাল হওয়ার পর পরই রাজ্যের সব বিধায়ককে সরকারি কোষাগার থেকে বড় গাড়ি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অখিলেশ। বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটা তাই ভেবে-চিন্তেই নিতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy