বিজেপি নেতা তথা বিহারের নওয়াদা লোকসভা আসনের প্রার্থী গিরিরাজ সিংহের কোনও হদিশ নেই! প্রশাসন তাঁকে ফেরার ঘোষণা করেছে। তাঁর দলও জানিয়েছে, গিরিরাজের হদিশ তাঁদেরও জানা নেই। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে মাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ঝাড়খণ্ডের বোকারোর এসডিজেএম তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তার প্রেক্ষিতেই তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেন। আজ বোকারোর অতিরিক্ত মুখ্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। উল্লেখ্য, জামিন অযোগ্য ধারায় বিহার বিজেপি-র এই নেতার বিরুদ্ধে বোকারো এবং দেওঘরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
গিরিরাজের মোবাইল ফোন বন্ধ। তিনি বাড়িতেও নেই। বোকারো এবং পটনার পুলিশ যৌথ ভাবে এই প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে খোঁজ করতে গিয়ে তাঁকে পায়নি। এর পরেই বিহার প্রশাসনের পক্ষ থেকে গিরিরাজের নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এডিজি (সদর) রবীন্দ্র কুমার আজ বলেন, “এই নেতা ফেরার। তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিহারের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “চার দিন আগে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারপর থেকে কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি কোথায় তা আমরা বলতে পারব না। তাঁর সঙ্গে যখন শেষ কথা হয় তখন বলেছিলাম, আইনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আইন সকলের কাছে সমান।”
এ দিকে, বোকারো আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় কুমার ঝা বলেন, “দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক গিরিরাজ সিংহের আগাম জামিনের আবেদন বাতিল করেছেন।” এর পরে গিরিরাজের হাইকোর্টে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প থাকল না বলে আইনজীবীরা মনে করছেন। গত ২০ এপ্রিল বোকারো এবং দেওঘরের জনসভায় গিরিরাজ বলেছিলেন, “যাঁরা নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করছেন তাঁদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।” নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বুঝেই গিরিরাজের এই মন্তব্যকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমর্থন করেনি। এমনকী নরেন্দ্র মোদীও ট্যুইট করে জানিয়ে দেন, “গিরিরাজ সিংহের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করি না।” নির্বাচন কমিশন গিরিরাজকে প্রচার করতেও নিষেধ করে।