Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি

আক্রমণই রক্ষণের শ্রেষ্ঠ উপায়। চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের ঘাটতি কমিয়ে আনতে আগ্রাসী কৌশলই নেওয়া উচিত বলে মনে করেন রফতানিকারীরা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে রফতানিকারী সংগঠনগুলির দাবি, চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১০
Share: Save:

আক্রমণই রক্ষণের শ্রেষ্ঠ উপায়।

চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের ঘাটতি কমিয়ে আনতে আগ্রাসী কৌশলই নেওয়া উচিত বলে মনে করেন রফতানিকারীরা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে রফতানিকারী সংগঠনগুলির দাবি, চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হোক। আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে বাধানিষেধ উঠে গেলে ভারতেরই রফতানি বাড়বে। আজ ফিও (ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ায় এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন)-এর সভাপতি রফিক আহমেদ বলেন, “চিনকে ভয় পাওয়ার কী প্রয়োজন? যদি চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়, তা হলে আমাদেরই লাভ। কেন্দ্রের এ নিয়ে কোনও দ্বিধা থাকার প্রয়োজন নেই।” কিছু দিনের মধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসছেন বলে জানান রফিক।

চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ এখন প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ভারত থেকে চিনে যা রফতানি হয়, তার থেকে চিন ভারতে অনেক বেশি পণ্য পাঠায়। তার কারণ চিনা পণ্যের দাম অনেক কম। ভারতের শিল্প সংস্থাগুলি বরাবরই চিনা পণ্যের উপর চড়া হারে শুল্ক বসানোর দাবি তুলে আসছে। কারণ সস্তার চিনা পণ্যে বাজার ছেয়ে যাওয়ায় এ দেশের শিল্প সংস্থাগুলির পণ্য মার খাচ্ছে। চিনে অল্প পরিমাণ কর ও সুদের হার এবং কম মজুরির শ্রমিকের সুবিধে থাকায় তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠছে না এ দেশের শিল্প সংস্থাগুলি। বাণিজ্য মন্ত্রকও এত দিন তাই চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে উৎসাহ দেখায়নি।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে চিনা পণ্য এ দেশে আসার ক্ষেত্রে যাবতীয় কর ও অন্যান্য বাধানিষেধ উঠে যাবে। তেমনই ভারতের পণ্যও অবাধে চিনের বাজারে যেতে পারবে। ফিও-কর্তাদের ব্যাখ্যা, এতে লম্বা দৌড়ে ভারতেরই লাভ হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনা খেলনা বা রাখির মতো খুব অল্প দামের পণ্যে এ দেশের বাজার ছেয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই পণ্য বাণিজ্যিক ঘাটতির কারণ নয়। আসল কারণ হল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং টেলিযোগাযোগের যাবতীয় যন্ত্রাংশ চিন থেকে আসছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে একই ভাবে ভারতীয় বস্ত্র, তৈরি জামাকাপড়, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যও চিনের বাজারে আরও বেশি করে যাবে। ফিও কর্তারা জানাচ্ছেন, চিনেও এখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে। তা ছাড়া এখন চিনে সস্তার পণ্যের চেয়ে দামি বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি বেশি তৈরি হচ্ছে। ফিও-র সহ-সভাপতি অমিত গয়াল বলেন, “চিনের শিল্প সংস্থাগুলি এখন যেখানে কম মজুরির শ্রমিক মিলছে, সেখানেই গিয়ে কারখানা তৈরি করছে। যেমন, ভিয়েতনাম, কাম্বোডিয়া।” তাঁর কথায়, “ভারতের উচিত চিনা সংস্থাগুলিকে এ দেশে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানানো। চিনা সংস্থাগুলি ভারতে পণ্য তৈরি করে তারপর অন্য দেশে তা রফতানি করতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chin india business
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE