ভোটের দৌড়ে হারিয়ে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। ফল ঘোষণার দিন তাই আনন্দ আর উৎসাহের ঠেলায় একে৪৭ হাতে তুলে নিয়ে একের পর এক গুলি ছুড়েছিলেন আকাশে। সোনওয়ার থেকে সদ্য ভোটে জেতা পিডিপি (পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) প্রার্থী মহম্মদ আশরফ মিরের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। জঙ্গি হামলার চোখরাঙানি যেখানকার বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী, সেখানে এক বিধায়ক দিনের আলোয় এমন কাণ্ড কী ভাবে করলেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।
ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন? ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ভোটে জেতার খবর পেয়ে বিজয় মিছিল বার করেছিলেন মিরের সমর্থকরা। তাঁর বাড়ির সামনে আচমকাই হাতে একে৪৭ নিয়ে শূন্যে একাধিক রাউন্ড গুলি চালিয়ে বসেন মহম্মদ আশরফ। মির অবশ্য গুলি চালানোর পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর দাবি, রক্ষীদের এক জনের বন্দুক মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। তিনি কেবল তা হাতে করে তুলে ফেরত দিয়েছিলেন। গুলি ছোড়ার ভিডিওটা বিরোধীদের বানানো। আসলে এমন কিছু ঘটেইনি।
বিরোধীরা যদিও মিরের যুক্তি মানতে নারাজ। ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র জুনেদ মাট্টুর কথায়, “বিধায়ক হয়ে কেউ কী করে এমন কাজ করতে পারেন! তার উপর আবার এমন একটা রাজ্যে, যেখানে যুদ্ধের ইতিহাস খুব পুরনো নয়।” সোনওয়ার কেন্দ্রে মহম্মদ আশরফ মিরের কাছেই ৪৭০০ ভোটে হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। মিরের কীর্তিতে অবাক তিনিও। ওমরের আক্ষেপ, ক’দিন পরে আশরফ মন্ত্রী হবেন। তাই পুলিশ তাঁকে ছোঁয়ার সাহসই দেখাচ্ছে না। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ভাগ্যিস বীরওয়া কেন্দ্রে জিতেছি। নইলে বোধ হয় আমাকেই গুলি করে দিত।” জয়ী বিধায়কের এ হেন কীর্তিতে ক্ষুব্ধ বিজেপি। দলের নেতা সুনীল শর্মা জানিয়েছেন, “জিতলেই কেউ এ রকম করতে পারেন নাকি! এটা সংবিধানবিরোধী। আইন তার নিজের পথেই চলবে।”
পুলিশকে এই ঘটনার তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ-কর্তা জানিয়েছেন, “আইজি-কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy