মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন যত সামনে আসছে, ততই বাড়ছে দলবদলের ঘটনা। এমন কী শিলচর থেকে তাঁর নাম এআইইউডিএফ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরেও কংগ্রেস-ছুট পরভেজ আহমেদ এআইইউডিএফ ছেড়ে শেষ অবধি বরপেটার টিকিট পেতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। পরভেজ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের ছেলে।
গত কাল এআইইউডিএফ ঘোষণা করে, শিলচর থেকে তাঁদের প্রার্থী হচ্ছেন পরভেজ আহমেদ। মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র গৌরব গগৈকে কলিয়াবরে প্রার্থী করার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন পরভেজ। দিল্লিবাসী চিকিৎসক পরভেজ প্রথমে কংগ্রেসের টিকিটেই বরপেটায় দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থী পদ না পাওয়ায় কংগ্রেস ছাড়ার হুমকি দিয়ে অসমে এসে তিনি এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে দেখা করেন। যেহেতু তাঁর মা ও বাবা দু’জনই বরপেটা থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়েছেন, তাই তিনিও জেদ ধরেন বরপেটা থেকেই তিনি লড়বেন। তিনি জানান, এআইইউডিএফ রাজি না হলে বরপেটা থেকে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন। তবে শেষ অবধি এআইইউডিএফ বরপেটা নয়, শিলচর থেকে আহমেদকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করে।
কিন্তু আজ সকালে ফের চমক দেন পরভেজ আহমেদ। তৃণমূল জানায়, পরভেজ দলের হয়ে বরপেটা থেকে দাঁড়াচ্ছেন। এ দিকে, দলীয় সূত্রে খবর এক সপ্তাহের মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে এআইইউডিএফ এবং শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে চলে আসা পরভেজকে তৃণমূলের একাংশ মেনে নিতে পারছে না। ওই শিবির আবার আলি আসগরকে বরপেটায় প্রার্থী করতে চেয়েছিল।
প্রদেশ তৃণমূলের মুখপাত্র কৈলাশ শর্মা অবশ্য বলেন, ‘‘এআইইউডিএফ জোর করে পরভেজের নাম ঘোষণা করে দেয়। তিনি মোটেই ওই দলে যোগ দেননি। আলোচনা চালিয়েছিলেন মাত্র।” আজই অসমের কয়েকটি আসনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, তেজপুরে প্রার্থী হচ্ছেন গোপী চাঁদ, নগাঁওতে দীপক বরা, যোরহাটে রিবুলোয়া গগৈ, ডিব্রুগড়ে নবজ্যোতি কলিতা, শিলচরে রাজা উসমান আলি। তৃণমূল জানিয়েছে, কলিয়াবরে গৌরব গগৈয়ের বিরুদ্ধে ব্যালটের লড়াইয়ে নামবেন শামসুল আলম।
ভিন্ রাজ্যের জন্য আরও কয়েক জন প্রার্থীর নাম আজ ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানান, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে তাঁদের প্রার্থী হচ্ছেন ছত্তীসগঢ় এবং ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইসরাত হাসিম কুদ্দুস। ওড়িশার বালেশ্বরে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কার্তিকেশ্বর পাত্র। ঝাড়খণ্ডের একটি আসনেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেচে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy