Advertisement
০৬ মে ২০২৪

শান্তি প্রস্তাবে রাজি মেঘালয়

ভোটের দিকে তাকিয়ে, শেষ পর্যন্ত গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র শান্তি প্রস্তাবে সাড়া দিল মেঘালয় সরকার। এর আগে জিএনএলএ একাধিক বার শান্তি প্রস্তাব পাঠালেও, এক মাত্র নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের শর্তে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল সরকার। সম্প্রতি জিএনএলএ একই প্রস্তাব পাঠায়। সংগঠনটি জানায়, আইনজীবী সুজিত দে’র মধ্যস্থতায় তারা আলোচনায় রাজি। বৈঠকে থাকতে হবে রাজ্যপাল কৃষ্ণকান্ত পলকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩১
Share: Save:

ভোটের দিকে তাকিয়ে, শেষ পর্যন্ত গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র শান্তি প্রস্তাবে সাড়া দিল মেঘালয় সরকার।

এর আগে জিএনএলএ একাধিক বার শান্তি প্রস্তাব পাঠালেও, এক মাত্র নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের শর্তে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল সরকার। সম্প্রতি জিএনএলএ একই প্রস্তাব পাঠায়। সংগঠনটি জানায়, আইনজীবী সুজিত দে’র মধ্যস্থতায় তারা আলোচনায় রাজি। বৈঠকে থাকতে হবে রাজ্যপাল কৃষ্ণকান্ত পলকে।

প্রথমে কোনও সাড়া দেয়নি রাজ্য। শাসক দলে আলোচনা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা গারো পাহাড়ের প্রতিনিধি। তাঁর ভাই, বিধায়ক জেনিথ সাংমা তুরা কেন্দ্রে সম্ভাব্য লোকসভা প্রার্থী। তাঁকে লড়তে হবে পূর্ণ সাংমার মতো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের যুক্তি ছিল, জিএনএলএ-র প্রস্তাব মানলে দু’দিকে লাভ হতে পারে। এক দিকে, সোহন ডি শিরার হাত ধরলে, ভোটে তার সংগঠনের প্রচ্ছন্ন মদত মিলবে। অন্য দিকে, ভোটের আগে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে, গারো পাহাড়ের সন্ত্রস্ত মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তাও পৌঁছবে। জঙ্গি সংগঠন হলেও, গারো পাহাড়ে জিএনএলএ-র জনসমর্থন রয়েছে একেবারে তৃণমূল স্তরেও। শান্তি আলোচনা শুরু হলে, নির্বাচনে মানুষের সমর্থন পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। তা ছাড়া, ভোটের আগে গারো পাহাড়ে হিংসা ও নাশকতা অনেকটাই কমবে। এরপরই ওই প্রস্তাব মেনে নেয় রাজ্য সরকার।

তবে, এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন এএনভিসি নেতা ও বর্তমানে বিদ্রোহী এএনভিসি (বি)-র রাজনৈতিক সচিব আজাজু আর মারাক, একটি চিঠি ফাঁস করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিপাকে ফেলেছে। ওই চিঠিতে মারাক মুকুল সাংমাকে মনে করিয়েছেন, রাজ্যের সরকার গঠনে সমর্থন দেওয়ার জন্য কী ভাবে বিধায়কদের ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রপতি ভবনেও জানানো হয়েছে।

বিধানসভায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রোশন ওয়ারজিরি বলেন, “জিএনএলএ শান্তি প্রস্তাব রেখেছে। রাজ্যবাসীর স্বার্থে আমাদের তা গ্রহণ করা উচিত।” কিন্তু জিএনএলএ ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন’-এর তালিকাভুক্ত। পাশাপাশি, শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য জেলে বন্দি সংগঠনটির সভাপতি চ্যাম্পিয়ন সাংমার মুক্তির শর্তও রাখা হয়েছে। ওয়ারজিরি জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এএনভিসির সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও খোলা মনে আলোচনার টেবিলে বসতে স্বাগত জানাচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

meghalaya gnl peace talk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE