Advertisement
০১ জুন ২০২৪

হানাবাড়ি বুরুডির ক্যাফেটেরিয়া

মাওবাদী আতঙ্কে ‘হানাবাড়ি’ ঘাটশিলার বুরুডি লেকের ক্যাফেটেরিয়া। জঙ্গি-হানার ভয়ে পর্যটকরা ছেড়েছেন বুরুডির রাস্তা। তাঁদের জন্য রাজ্যের পর্যটন দফতরের তৈরি ক্যাফেটেরিয়া আজ তা-ই জরাজীর্ণ। অবহেলায় পড়ে রয়েছে চেয়ার-টেবিল, ভাঙা জানালার কাচ, বাচ্চাদের দোলনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাঁচি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৫৩
Share: Save:

মাওবাদী আতঙ্কে ‘হানাবাড়ি’ ঘাটশিলার বুরুডি লেকের ক্যাফেটেরিয়া। জঙ্গি-হানার ভয়ে পর্যটকরা ছেড়েছেন বুরুডির রাস্তা। তাঁদের জন্য রাজ্যের পর্যটন দফতরের তৈরি ক্যাফেটেরিয়া আজ তা-ই জরাজীর্ণ। অবহেলায় পড়ে রয়েছে চেয়ার-টেবিল, ভাঙা জানালার কাচ, বাচ্চাদের দোলনা।

উইক-এন্ডে কাছাকাছি ঘুরে আসার জন্য এক সময় ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই ভিড় জমাতেন পূর্ব সিংভূমের বুরুডিতে। ছবিটা এখন বদলেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পর্যটন দফতরসব জায়গাতেই বুরুডির উন্নয়নের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। রাজ্য পর্যটন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল কুমারের কথায়, “ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল।” পূর্ব সিংভূমের ডিসি অমিতাভ কৌশল জানান, নির্বাচনের পর ওই এলাকার উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা হতে পারে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে তৈরি হয় ক্যাফেটেরিয়াটি। ২০০৯ সালে বুরুডি লেকের কাছে, পুলিশের একটি গাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এরপর পর্যটকদের ভিড় কমে বুরুডিতে। লোকসানে বন্ধ হয় ক্যাফেটেরিয়াও।

ঘাটশিলার বাসিন্দা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এখন মাওবাদী উপদ্রব তেমন নেই। পর্যটকরা বুরুডিতেও যাচ্ছেন। ক্যাফেটেরিয়াটি চালু করা হলে তাঁদের সুবিধা হবে।”

ঘাটশিলার একটি রিসর্টের ম্যানেজার অমর মিত্রের কথায়, “সুবর্ণরেখা, বুরুডি লেক, ফুলডুংরি পাহাড় এখানে রয়েছে। কোনও জায়গাতেই পর্যটকদের জন্য তেমন স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি একই থাকলে, ভবিষ্যতে পর্যটকরা আর এ দিকে আসতে চাইবেন না।”

ফুলডুংরি থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে বুরুডি লেক। রাস্তা বেহাল। বড় বড় গর্ত। মেরামত হয়নি দীর্ঘদিন। গাড়ির ঝাঁকুনিতে হাত-পা ব্যথা হয়ে যায়। কাশিদা থেকে বুরুডি গ্রাম পর্যন্ত বাঁধানো রাস্তা রয়েছে। বুরুডি লেক পৌঁছতে ভরসা ভাঙাচোরা রাস্তাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

maoist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE