শিলচরে ভোটার তালিকা থেকে এ বার একসঙ্গে ৪৫ হাজার নাম কাটা গিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন দফতর জানিয়েছে, এদের অধিকাংশেরই দু’জায়গায় নাম ছিল। তালিকাভুক্ত ঠিকানায় অনেক দিন ধরে না থাকার জন্যও বাদ পড়েছে বহু নাম।
বাদ পড়ার সংখ্যাটি মোট ভোটারের চার শতাংশ। তবু অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন না কাছাড়ের নির্বাচন অফিসার সীমান্তকুমার দাস। তিনি বলেন, গত বছর ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে এখানে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। কমিশনার, জেলাশাসক-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা এলাকায় এলাকায় গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কি না খতিয়ে দেখেন। স্থানে স্থানে পথসভা, নাটক ইত্যাদি করা হয়। তখন চলতি ভোটার তালিকায় কার কার নাম বাদ দেওয়া প্রয়োজন তাও খুঁজে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মূল লক্ষ্য, পুরোমাত্রায় সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করা। শিলচর লোকসভা আসনের ১ হাজার ১৮৮টি ভোটকেন্দ্রের সমস্ত বুথ লেভেল অফিসারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। এরই ভিত্তিতে বাদ যায় ৪৪ হাজার ৮৪৮ জনের নাম।
তবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ভোটার তালিকায় যোগ-বিয়োগ করলে দেখা যায়, এক বছরে জেলায় ভোটার কমেছে ১৬ হাজার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সীমান্তবাবু ব্যাখ্যা দেন, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারিকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকায় ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার ২০ জনের নাম ছিল। ৪৪ হাজার ৮৪৮ জনের নাম বাদ পড়ায় সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১০ লক্ষ ২৯ হাজার ১৭২। তিনি আরও জানান, এক বছরে জেলায় নাম তুলেছেন ২৯ হাজার ৬৯৮ জন। ফলে এখন নতুন তালিকায় রয়েছেন ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৭০ জন ভোটার। তাঁর কথায়, যাঁদের নাম যুক্ত হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই নতুন ভোটার। বাকিদের একাংশ ঠিকানা বদলে শিলচর এসেছেন।
জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজরিকা জানিয়েছেন, অসমে এই প্রথম সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র বিতরণ করা হচ্ছে। বুথ লেভেল অফিসারদের মাধ্যমে বণ্টনের কাজ চলছে। তবে প্রথমবার বলে ভোটাধিকারের জন্য পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক নয়। ভোটার তালিকায় নাম থাকলে যে কোনও সরকারি নথি দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। তাই পরিচয়পত্র না পেলে বা তাতে ভুলভ্রান্তি থাকলেও উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের পর ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy