‘প্রে ফর বেঙ্গল’ অনুষ্ঠানের পোস্টার।
করোনা আতঙ্কের মাঝেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দুই ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকা। বিপন্ন মানুষকে সাহায্যের জন্য সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি নানা ভাবে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে একাধিক বেসরকারি সংগঠনও। সেই উদ্যোগে এবার সামিল হলো ভারত, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ৩০টি সংস্থা।
রাজ্যের আমপান কবলিত এলাকাগুলির জন্য ত্রাণ সংগ্রহের উদ্যোগে গত ৬ জুন ‘প্রে ফর বেঙ্গল’ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ‘স্টে অ্যালাইভ কনসার্টস’-এর কর্ণধার সুরঞ্জন সোম ও অনি বর্ধন। সাড়ে চারঘন্টার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি জগতের বহু উজ্জ্বল তারকা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারততীর্থ’ পাঠ করে শোনান বিশিষ্ট অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। গানে মাতিয়ে দেন লোপামুদ্রা মিত্র, রূপঙ্কর বাগচী, প্রবুদ্ধ রাহা, শ্রেয়া গুহঠাকুরতা, প্রমিতা মল্লিক, রূপম ইসলাম, পলাশ সেন, অন্তরা চৌধুরী, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবণী সেন, বিদীপ্তা চক্রবর্তী-র মতো এক ঝাঁক শিল্পী। পাঠ করেন অপর্ণা সেন, শকুন্তলা বড়ুয়া, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ ঘোষ, চৈতালী দাশগুপ্ত ও মীর আফসার আলি। সেই সঙ্গে দর্শকদের কাছে ত্রাণের অর্থের জন্য আবেদন করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, পল্লবী চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, দোলন রায়, রাহুল রাম, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, তন্ময় বোস, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য শিল্পীরা।
শুধু এ দেশই নয়, বাংলাদেশ, জাপান, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার বাঙালি এই অনুষ্ঠান লাইভ দেখেন। ত্রাণের জন্য বিভিন্ন প্রবাসী সংস্থা যে অর্থ সংগ্রহ করছে তা আরও বাড়িয়ে দেওয়াই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। অনুদানের অর্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ত্রাণ তহবিল, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: এলএসি’তে সংঘর্ষ, চিনের পাঁচ সেনা খতম, শহিদ তিন ভারতীয় সেনাও
উদ্যোক্তারা বলছেন, এতটা সময় জুড়ে সোশাল মিডিয়াতে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যতটাই অভিনব, ঠিত ততটাই কঠিন কাজ ছিল।ইন্টারনেট প্রযুক্তির ওপর ভরসা রেখে এত বড় একটা উদ্যোগের পরিকল্পনা করা এবং এতজন শিল্পীকে একসঙ্গে পাওয়া তাঁদের কাছে যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, তা মেনে নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই অনলাইন কনসার্ট।
আরও পড়ুন: ভারত একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে পরিণতি খারাপ হবে, হুঁশিয়ারি চিনের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy