হংকং বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা। ছবি: রয়টার্স।
ইঙ্গিতটা কালই দিয়েছিল বেজিং প্রশাসন। আজ আরও জোরের সঙ্গে সেই বিষয়টিকেই সামনে আনল তারা। হংকং বিক্ষোভে গণতন্ত্রকামীরা সাধারণ নাগরিকদের উপরে যে ভাবে চড়াও হচ্ছে, তার সঙ্গে ‘জঙ্গি হামলা’-র মিল রয়েছে বলে ফের দাবি করল চিন। মঙ্গলবার রাতে প্রতিবাদ চলাকালীন হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিমানবন্দরে এর আগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলছিল। দশ সপ্তাহের বিক্ষোভকে এক ঝটকায় চিনা সরকার ‘সন্ত্রাসের’ তকমা দিয়ে আজ বলেছে, ‘‘এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করছি আমরা।’’ হংকং এবং ম্যাকাও অ্যাফেয়ার্স অব দ্য স্টেট কাউন্সিল-এর মুখপাত্র শু লুয়িংয়ের দাবি, যে দু’জনকে মারধর করা হয়েছে, তারা চিনের সমর্থক। এই ঘটনার উদাহরণ দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার বিক্ষোভের মধ্যে সন্ত্রাস খুঁজে পাওয়ার কথা বলল বেজিং প্রশাসন। আর তার থেকেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় উঠে আসছে উদ্বেগ, কারণ এই সন্ত্রাসের যুক্তি দেখিয়ে সেনা সক্রিয়তা বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে চিন। কাল হংকং সীমান্তের কাছে সার দিয়ে ট্যাঙ্ক দাঁড় করিয়ে রাখার ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশঙ্কা, অশান্তি থামাতে বেজিং সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।
হংকং সীমান্তে সেনা মোতায়েনের খবর তাঁর কানে পৌঁছেছে গোয়েন্দা সূত্রে। ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘চিন-সহ সব পক্ষই যেন সমাধানসূত্র খুঁজে পায়। আশা করি, সেটা শান্তিপূর্ণ পথে হবে, কারও প্রাণ যাবে না।’’
বিক্ষোভের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে মারধর এবং যাত্রীদের বিমানে উঠতে না দেওয়ার ঘটনার জেরে সাধারণ জনতার যে সমর্থন আন্দোলনকারীরা পাচ্ছিলেন, তাতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে বুধবার প্রতিবাদী মুখের সংখ্যা কমেছে। সময় মেনে ওঠানামা করেছে অনেক বিমানও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy