অস্ত্র চাই। আরও অস্ত্র চাই। এবং আরও অস্ত্র চাই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
ইচ্ছেটা গোপন করেননি। কোনও রাখঢাকের প্রয়োজন বোধ করেননি। নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর দেশের সমরাস্ত্রের ভাণ্ডারকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চান, আমেরিকার ইতিহাসে যা কখনও হয়নি। আর তার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থবরাদ্দের প্রয়োজন, তা মঞ্জুর করানোর জন্য কংগ্রেসে যা যা করণীয়, তার সব কিছুই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যেন নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কোনও জনসভায় বলছেন, এমন ঢঙেই শুক্রবার তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির ‘কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে’ ভাষণ দিতে গিয়ে আমেরিকার সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার কী ভাবে গড়ে তুলতে চান, তা ব্যাখ্যা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির এটাই সেই মঞ্চ, যেখান থেকে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েই তিনি প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়টা শুরু করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘ঘোড়দৌড়ে’ কেন রিপাবলিকান পার্টি তাঁকে মাঠে নামাবে, তার যুক্তি দিতে গিয়ে সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর নীতি হবে ‘সবার আগে আমেরিকা’। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সেটাই করবেন, যা আমেরিকার স্বার্থসিদ্ধি ঘটাবে।
আরও পড়ুন- ভারত টার্গেটে রয়েছে আইএসের, বললেন মুক্তি পাওয়া চিকিৎসক
কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী যে দেশের, সেই আমেরিকার সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার আরও আরও বাড়ানোর জন্য যে বিপুল অর্থবরাদ্দের প্রয়োজন আর তার জন্য প্রয়োজন মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন (যাতে রিপাবলিকানরা যথেষ্টই বলীয়ান সংখ্যায়), সেটা বিলক্ষণ জানেন বলেই মঙ্গলবার কংগ্রেসে তাঁর প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ-বৃদ্ধির আর্জির আগেই রিপাবলিকান পার্টির ‘কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে’ তাঁর ‘সাধে’র কথা জানিয়ে রাখলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যাতে তাঁর ‘সাধ’ পূরণের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় মার্কিন কংগ্রেসের ‘সাধ্যে’র অজুহাত! তাই কী ভাবে তিনি আমেরিকার সেনাবাহিনীকে আরও আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে চান, তারও একটি রূপরেখা ব্যাখ্যা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দলের ‘কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে’। বলেছেন, তিনি একই সঙ্গে চান দেশকে রক্ষা ও শত্রু দেশগুলিকে ‘যথাযথ শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হাতিয়ার। আর সে সব হাতে পাওয়ার জন্য তাঁর হাতে পাওয়া দরকার বিপুল অঙ্কের মার্কিন ডলার। এও বলেছেন, ‘‘হয়তো সে সব অস্ত্র কোনও দিনই আমাদের ব্যবহার করতে হবে না। কিন্তু হাতে থাকলে ক্ষতি কীসের? হাতে ওই সব মারণাস্ত্র আছে জেনে কেউ আর চোখ টেরিয়ে কথা বলার সাহস পাবে না আমেরিকার সঙ্গে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy