Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
India-China

ভারতে জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ বাড়ছে, প্রভাব পড়তে পারে বাণিজ্যে: চিন

লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই এ ভাবে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে সর্বত্র। ছবি: পিটিআই।

লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই এ ভাবে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে সর্বত্র। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ১৭:০৬
Share: Save:

সীমান্ত সঙ্ঘাতের জেরে ভারতে জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ জোরালো হয়ে উঠছে। এতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তো বটেই, দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই শুধুমাত্র ভারতের উপর ভরসা না করে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিকল্প বাজারের খোঁজ করতে হবে। লাদাখে চিনা বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেই পরিস্থিতিতে‌ এ বার ভারতে চিনা বিনিয়োগকারীদের এই মর্মে সতর্ক করল সে দেশের সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস। তাদের দাবি, এই মুহূর্তে ভারতে চিন বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হতে হবে।

সোমবার লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) দু’দেশের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের তরফেও প্রাণহানি ঘটে। তবে তাদের হতাহতের সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। তার জেরে বুধবার অনলাইনে ৫জি হ্যান্ডসেট লঞ্চ করার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায় চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ওপো। তাতেই বিনিয়োগকারীদের ভারতের বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ দিতে শুরু করেছে গ্লোবাল টাইমস। সম্প্রতি প্রকাশিত তাদের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চিন বিরোধী মনোভাব থেকে সতর্ক হতে হবে চিনা সংস্থাগুলিকে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘‘সীমান্ত সঙ্ঘাতের জেরে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও যে প্রভাবিত হবে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ভারতে চিন বিরোধী এই মনোভাব বেশ কিছু দিন স্থায়ী হবে। তার মানে এই নয় যে, চিনা সংস্থাগুলিকে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে বা পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সম্ভব হলে এখন থেকেই বহুমুখী বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে তাদের। খোঁজ করতে হবে বিকল্প বাজারের।’’ পরিস্থিতি থিতিয়ে না আসা পর্যন্ত ভারতে নয়া বিনিয়োগ এবং উৎপাদনের পরিকল্পনাও স্থগিত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে জাহাজ থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও বাঁশদ্রোণীর বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার​

আরও পড়ুন: সেনার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের, পাল্টা তোপ অমিত শাহের​

গ্লোবাল টাইমসের বক্তব্য, ‘‘ভারত এবং চিন, দুই দেশ ইতিমধ্যেই উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাই সে দেশে চিনা নাগরিক, চিনা সংস্থার নিরাপত্তার বিষয়টি ভারত সরকারের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কিন্তু তা না হলে, চিন বিরোধী চিন্তাভাবনায় লাগাম না টানা গেলে, পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করতে পারে। এতে বিশ্ববাজারে ভারতের যে ভাবমুর্তি রয়েছে, তা ধাক্কা খাবে। তাতে বিদেশি সংস্থাগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের বিকল্প বাজার খুঁজতে সচেষ্ট হবে।’’ এই সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দুই দেশকেই বিচার-বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখতে হবে এবং তাতে দুই দেশই লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করে গ্লোবাল টাইমস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE