যুদ্ধহীন ভবিষ্যতের লক্ষ্যে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণে দেশের অন্যতম প্রধান একটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বুধবার তেমনটাই জানিয়েছেন।
আমেরিকা প্রতিশ্রুতি পালন করলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ওই কেন্দ্র ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন কিম। দুই কোরিয়ায় শান্তির জন্য চুক্তিতে সই করেছেন কিম-মুন। পিয়ংইয়্যাংয়ে কিমের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুন বলেছেন, ‘‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা একমত হয়েছি।’’ উপদ্বীপে সামরিক শান্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন কিমও। ‘যুদ্ধহীন এক যুগের’ আশা দেখিয়েছেন মুন।
গত এপ্রিলে দুই নেতা এই বিষয়টি নিয়েই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। আজকের বৈঠক শেষে কিম বলেন, ‘‘সারা পৃথিবী দেখতে চায়, দ্বিধাবিভক্ত এই জাতি নিজেদের জন্য কী ভাবে নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে আসতে চলেছে।’’ কিম জানান, শীঘ্র তিনি সোল-এ যাবেন। সেটাও রেকর্ড। কারণ কিমের বাবা, কিম জং ইল সোল যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনও গিয়ে ওঠেননি।
এ দিন দুই দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানও ১৭ পাতার চুক্তি সই করেন। তাতে বলা রয়েছে, ‘‘পরস্পরের বিরুদ্ধে সব রকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ হবে।’’ এই সূত্রেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বলেছেন, ‘‘কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি করার মতো সব রকম আশঙ্কা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ।’’ দুই প্রেসিডেন্ট যে যে বিষয়ে একমত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে— ২০৩২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্স আয়োজনে দুই দেশই সক্রিয় ভূমিকা নেবে, আগামী বছরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে তৈরি হবে রেল ও সড়ক যোগাযোগ, ১ নভেম্বরের মধ্যে দু’দেশের সামরিক বিভাজন রেখা বরাবর মহড়া বন্ধ করা হবে, এ বছরের শেষে অসামরিক এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের ১১টি ছাউনি সরিয়ে দেওয়া হবে ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বল এ বার ওয়াশিংটনের কোর্টে। দুই কোরিয়ার চুক্তি সইয়ের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছেন, ‘‘পরমাণু বিশেষজ্ঞদের ঢুকতে দিতে রাজি হয়েছেন কিম জং উন। আর এর মধ্যে কোনও রকেট বা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নয়। উনি এখনও নায়ক...।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy