ভূকম্পে ফাঁটল নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায়।-এপি
জোড়া ভূমিকম্পে কাঁপল দুই দেশ!
এক দিকে শনিবার মাঝরাতে নিউজিল্যান্ডে জোরদার কম্পন এবং সুনামি সতর্কতা। আর অন্য দিকে আর্জেন্টিনা-চিলি সীমান্তে রিখটার স্কেলে রবিবার সকালে ৬.২ মাত্রার কম্পন! যদিও দু’ক্ষেত্রেই রবিবার রাত পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার মাঝরাতে দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডে থরথর করে কাঁপতে শুরু করে ঘরদোর। মাঝে কয়েক সেকেন্ডের বিরতি। তার পরফের কম্পন। দেওয়াল থেকে খুলে পড়ল কাঠের আসবাব, ছবির ফ্রেম। ছাদ থেকে ভেঙে পড়ল ঝাড়বাতি। ঘুম ভেঙে তত ক্ষণে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে ভিড় করেছেন ক্রাইস্টচার্চ, সাউথ আইল্যান্ড-সহ নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন উপকূলবর্তী শহরের বাসিন্দারা। মোবাইল আসতে শুরু করেছে সুনামির সতর্কবার্তাও। এর ঘণ্টা দুয়েকের মাথায় জোরাল ঢেউ আছড়ে পড়ে ক্রাইস্টচার্চ থেকে ১৮১ কিলোমিটার উত্তর উপকূলে। তার উচ্চতা ছিল প্রায় আড়াই মিটার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ রবিবার জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টার কিছু পরেই কেঁপে ওঠে দক্ষিণ নিউজিল্যান্ড। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। যার উৎস ছিল ক্রাইস্টচার্চ থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, সমুদ্রের প্রায় ২৩ কিলোমিটার গভীরে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির খবর নেই। তবে উৎসস্থলের কাছে থাকায় সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শেভিয় শহরের বেশ কিছু বাড়িঘর। ক্রাইস্টচার্চের একটি সড়কেও ফাটল ধরেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এর উপরে থাকায় নিউজিল্যান্ড এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। ফলে এ দিন কম্পনের পরেই ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ উপকূল এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আর সুনামির সতর্কবার্তা আসা মাত্রই উপকূল ছেড়ে উঁচু জায়গায় যেতে শুরু করে মানুষ।
সর্বেক্ষণ সূত্রের খবর, প্রথম দিকে ঢেউয়ের উচ্চতা বেশি না হলেও এ সব ক্ষেত্রে পরের দিকে তা ভয়াল রূপ নিতে পারে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, মালবোরো, ক্রাইস্টচার্চের পাশাপাশি দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু জায়গায় পাঁচ মিটার উঁচু ঢেউও আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই ওয়েলিংটনে ছোট-বড় আকারের ঢেউ এসে পড়তে শুরু করেছে। সুনামির বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে চ্যাটহ্যাম দ্বীপপুঞ্জেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy