Advertisement
০৫ মে ২০২৪
International News

গির্জায় হামলা হতে পারে, বিস্ফোরণের দু’ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল ভারত

রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বলেছেন, ‘‘ভারত আমাদের হামলার সম্পর্কে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু কোথাও না কোথাও কোনও গাফিলতি ছিল আমাদের। যে কারণে সেই তথ্য নিচু স্তরের আধিকারিকদের কাছে পৌঁছনো যায়নি।’’

সিসিটিভিতে ধরা পড়া সন্দেহভাজন এক জঙ্গির ছবি। ছবি: এএফপি

সিসিটিভিতে ধরা পড়া সন্দেহভাজন এক জঙ্গির ছবি। ছবি: এএফপি

সংবাদ সংস্থা
কলম্বো ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১০:১৩
Share: Save:

বিস্ফোরণের দু’ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু গুরুত্ব না দেওয়াতেই দ্বীপ রাষ্ট্রের অন্যতম বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ধটে গিয়েছে। এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট করে গির্জায় বিস্ফোরণ হতে পারে, এমন বার্তাও দিয়েছিল ভারত।

রবিবার রাজধানী কলম্বো-সহ আরও দু’টি শহরে গির্জা ও হোটেলে মোট আটটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৯। তার মধ্যে অন্তত ১০ জন ভারতীয়ও রয়েছেন। মঙ্গলবারই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। তার পরের দিনই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা দফতরের পদস্থ দুই কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণের দু’ঘণ্টা আগেই ভারতীয় গোয়েন্দারা শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভারতীয় গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট করে বলেন, গির্জায় বিস্ফোরণের মতো হামলা হতে পারে। হামলাকারীরা শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ এবং বিদেশিদের সঙ্গে মিশে রয়েছে বলেও সাবধানবাণী দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে।

আরও পড়ুন: বুথের ৪০ মিটারের মধ্যে হামলা, বাহিনীর সামনেই হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন কংগ্রেস কর্মীকে

আরও পডু়ন: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিদি, কটাক্ষ মোদীর

কিন্তু ভারতের এই বার্তাকে যে শ্রীলঙ্কা গুরুত্ব দেয়নি, তা প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘের কথাতেই তা স্পষ্ট। ভারতের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত আমাদের হামলার সম্পর্কে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু কোথাও না কোথাও কোনও গাফিলতি ছিল আমাদের। যে কারণে সেই তথ্য নিচু স্তরের আধিকারিকদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছনো যায়নি এবং আগাম সতর্কতা নেওয়া যায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানের সুসম্পর্ক রয়েছে। যখনই কোনও প্রয়োজন হয়, নয়াদিল্লি আমাদের সাহায্য করে। সেই কারণেই জঙ্গিদের পিছনে বিদেশি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী বা অন্য কোনও মদত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাদের সাহায্য নিচ্ছি আমরা।’’

কিন্তু জঙ্গিরা এখনও দেশে রয়েছে কিনা, থাকলে কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন শ্রীলঙ্কা সরকার। অন্য দিকে মঙ্গলবারই উঠে আসে, ক্রাইস্ট চার্চে মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বিক্রমসিঙ্ঘে বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার আগেই শ্রীলঙ্কার এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE