ক্ষতিগ্রস্ত: চাবাহারে পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিস্ফোরণের পরে। বৃহস্পতিবার। এএফপি
বন্দর শহর চাবাহারে পুলিশের সদর দফতরের সামনে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন দুই পুলিশকর্মী। জখম অন্তত ৪০।
ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের মধ্যে পড়ে চাবাহার। সেখানকার গভর্নর রাহমদেল বামারি জানান, আজ একটি বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি পুলিশের সদর দফতরের কাছে এসে দাঁড়ায়। সন্দেহ হতেই চালককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। বামারি বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি ছুড়তেই বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গি।’’ বিস্ফোরণের জেরে আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু দূর থেকেও দেখা যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
পাকিস্তানকে এড়িয়ে মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য চাবাহারে ইরানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বন্দর উন্নয়নের কাজ করছে ভারত। ওমান উপসাগরের ধারে চাবাহার বন্দরের অবস্থান কূটনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে— ‘‘সন্ত্রাসের কোনও ব্যাখ্যা হতে পারে না। অপরাধীদের শাস্তি হতে হবে। ইরানের মানুষের জন্য ভারত সরকার সমব্যথী।’’ ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জ়রিফ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিদেশি-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আসা জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছিল বাহিনী। দোষীরা শাস্তি পাবে।’’ ইরান প্রশাসনের সন্দেহ, এ দিনের হামলায় হাত রয়েছে পাকিস্তানের বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। সীমান্ত পেরিয়ে এই অঞ্চলে প্রায়শই হামলা চালায় তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘটনার দায় নিয়েছে ‘আনসার আল-ফুরকান’ নামে একটি সুন্নি বালুচ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।
২০১০-এর ডিসেম্বরে চাবাহারে একটি মসজিদের সামনে আত্মঘাতী হামলায় ৪১ জন নিহত হন। এর পরে গত কয়েক বছরে ইরানে তেমন জঙ্গি হামলা হয়নি। কিন্তু ২০১৮-তে পরপর দু’টি হামলা। সেপ্টেম্বরে আহভাজে সেনা কুচকাওয়াজে জঙ্গি হামলা হয়। নিহত হন অন্তত ২৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy