Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আর ক’টা দিন পরেই

কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট)-এর দিন ঘনিয়ে আসছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য তাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে রাখলেন ‘টাইম’-এর কলকাতা বিভাগের ডিরেক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট)-এর দিন ঘনিয়ে আসছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য তাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে রাখলেন ‘টাইম’-এর কলকাতা বিভাগের ডিরেক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০৩
Share: Save:

• আর দু সপ্তাহও নেই

ভুলেও নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা নয়। বরং যেগুলো তোমাদের স্ট্রং এরিয়া সেগুলো ভাল করে ঝালিয়ে নাও। কনসেপ্ট, বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন— যা, যা করেছ, বার বার দেখতে থাকো। কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপটিটিউডের জন্য প্রয়োজনীয় ফরমুলা এক জায়গায় করা থাকলে তাড়াতাড়ি রিভিশন করতে সুবিধে হবে। সময় করে প্রতি দিন তিন-চার ঘণ্টা করে মক টেস্ট দিতে ভুলো না। পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাসটা থাকবে। সঙ্গে কোথাও কোনও খামতি থেকে গেলে শুধরে নিতে পারবে।

• পরীক্ষার আগের দিন

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নাও, যাতে পরের দিন নিশ্চিন্ত মনে পরীক্ষা দিতে যেতে পারো। তবে যেখানে পরীক্ষার সিট পড়েছে, সেখানে সব থেকে তাড়াতাড়ি কী ভাবে যাওয়া যায়, জেনে রেখো আগে থেকে। পরীক্ষার দিন জায়গা খুঁজতে গিয়ে অযথা ভোগান্তি যেন না হয়।

• ডি-ডে

খোলা মনে পরীক্ষা দিতে যাও। পরীক্ষার সময় যদি মনে হয় পেপার শক্ত হয়েছে, তা হলে জানবে অন্যদেরও একই অবস্থা।

• লক্ষ্য কী?

পেপারের সব প্রশ্ন উত্তর করতে হবে— এই চিন্তা নিয়ে কখনও পরীক্ষা দিতে বোসো না। বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত, যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছ, সব ক’টাই যেন নির্ভুল হয়। প্রত্যেক সেকশন-এ অর্ধেক প্রশ্নও ঠিকমত উত্তর করতে পারলে মোটামুটি একটা ভাল পার্সেন্টাইল সংগ্রহ করা যায়। তাতেই যে কোনও ভাল বি-স্কুল থেকে কল পাওয়ার সুযোগ থাকে। তার জন্য ঠিকমত প্রশ্ন বাছাইয়ের অভ্যাসটা খুব জরুরি। কিছু কিছু প্রশ্ন শক্ত থাকবেই। সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে।

• সময়ের সদ্ব্যবহার

প্রত্যেকটা বিভাগেরই নিজস্ব সময়সীমা রয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থীদের নিজেদের মতো সময়সীমা ভেঙে নেওয়ার চিন্তা থাকছে না। তবে যখন যে বিভাগ করছ, সেখানে প্রতিটি প্রশ্ন যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করো।

• আগে চোখ বুলিয়ে নাও

কোনও বিভাগ শুরু করার প্রথম দশ মিনিটে সব ক’টা প্রশ্নে এক বার চোখ বুলিয়ে নাও। সেগুলোকে তিনটে ভাগে ভাগ করে ফেল— এক, সোজা/ পারবে, শক্ত/ পারবে না, অন্যান্য/ চেষ্টা করলে পারতেও পারো। এর পর সোজা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করো। চটপট সব ক’টা নির্ভুল ভাবে করে ফেলো। হাতে অনেকখানি সময় নিয়ে এ বার ধরো যে প্রশ্নগুলো চেষ্টা করলে পারতে পারো। কোনও প্রশ্নে ভুলেও বেশি সময় দিতে যেও না।

• ছাড়তে শেখো

এটা কম্পিটিটিভ পরীক্ষা। ভুল কোনও ভাবেই করা চলবে না। যে সব মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে, সেখানে গেসওয়ার্ক একেবারেই নয়। ধরো, রিডিং কম্প্রিহেনশন কিংবা ডেটা ইন্টারপ্রিটেশনের কোনওটাতে চারটে প্রশ্নের মধ্যে তিনটে পেরেছ, একটা পারোনি। যেটা পারছ না, ছেড়ে দাও।

• ফোকাস হারিয়ো না

ধরো, একটা সেকশন ভাল হল কিন্তু আর একটা তেমন সুবিধে করতে পারোনি। তাই বলে বাকি সেকশনে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে। অনেকেরই এই বদ অভ্যাস আছে। তেমন হলে এটা ভেবো, আমার মতো নিশ্চয়ই অন্যদেরও এমন হচ্ছে। দেখবে মনে জোর পাচ্ছ, পরীক্ষাটাও অবশেষে তেমন খারাপ হল না। আত্মবিশ্বাস কখনও হারাবে না। তা হলেই সব মাটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE