আচমকা হার্ট অ্যাটাকের ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়। এ ভাবে সরু হয়ে আসা ধমনীকে বাইরের একটি বস্তুর সাহায্যে চওড়া করে আবার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়াটা খুবই সাধারণ বিষয়।
কিন্তু মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে আচমকা স্ট্রোক হলে এ বার সেখানেও স্টেন্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে কলকাতায়। তার ফলে মস্তিষ্কের সরু হয়ে আসা ধমনীর ভিতরেও স্বাভাবিক হচ্ছে রক্ত চলাচল। হৃদপিণ্ডের স্টেন্ট যেমন যেখানে বসানো হচ্ছে, সেখানেই থেকে যায়, মস্তিষ্কের স্টেন্ট কিন্তু এক বার বসিয়ে আবার সরিয়ে নেওয়া সম্ভব। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে মূলত রক্ত জমাট বেঁধে আটকে যায় ধমনী। বন্ধ হয়ে যায় রক্ত চলাচল। স্টেন্ট সেখানে পাঠিয়ে ধমনী চওড়া করার পরে সেই স্টেন্ট যখন সরিয়ে আনা হয়, তখন তার সঙ্গে বেরিয়ে আসা জমাট বাঁধা রক্ত। কলকাতার বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ছ’মাস ধরে শুরু হয়েছে এই চিকিৎসা। ৬৫ বছরের এক মহিলার মস্তিষ্কে এ ভাবে স্টেন্ট বসিয়ে পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কে আবার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন তিনি।
স্নায়ু বিশেষজ্ঞ তৃষিত রায়ের কথায়, ‘‘হার্ট অ্যাটাক হলে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু স্ট্রোক হলে একজন সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। এই ব্যবস্থা আরও জনপ্রিয় হওয়া উচিত। এই চিকিৎসার সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।’’ সাধারণ ভাবে বলা হয়, মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যদি আচমকা স্ট্রোক হয়, তা হলে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি দেরি হয়ে গেলে কী হবে?