Advertisement
E-Paper

নববর্ষে রান্না রুই, চিংড়ি অনলাইনে

গত জানুয়ারিতে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম ‘স্মার্ট ফিশ’ অ্যাপের মাধ্যমে শহরে মাছ বেচতে নামে। তাতে এতটাই সাড়া মিলেছে যে, রান্না মাছ সরবরাহের ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৪৭

বেসরকারি উদ্যোগে বছর তিনেক আগেই চালু হয়েছে অনলাইনে মাছ বিক্রির ব্যবসা। প্রযুক্তির কাঁধে ভর করে মাছের বাজার ধরতে চাইছেন রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ইন্টারনেটের মাছের বাজারের দিকে বাঙালির আগ্রহ বাড়ায় রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমও এ বার অনলাইনে টাটকা মাছ বিক্রির রাস্তা নিল।

গত জানুয়ারিতে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম ‘স্মার্ট ফিশ’ অ্যাপের মাধ্যমে শহরে মাছ বেচতে নামে। তাতে এতটাই সাড়া মিলেছে যে, রান্না মাছ সরবরাহের ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছে তারা। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাসের দাবি, ‘‘মাত্র তিন মাসেই অনলাইনে টাটকা মাছ বিক্রির বহর দেখে আমরা বাংলা নববর্ষ থেকে রান্না করা মাছের বিভিন্ন পদ বিক্রি করতে চলেছি।’’ নিগমের ‘স্মার্ট ফিশ’ অ্যাপে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অর্ডার দিলেই শহরবাসীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে রকমারি মাছের সুস্বাদু পদ।

রোজ রোজ বাজারে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে মোবাইলে আঙুল ছুঁইয়ে প্রিয় মাছটি বেছে নিয়ে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন অনেকেই। অনলাইনে মাছ বিক্রির ব্যবসায় দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে কলকাতাও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতায় অনলাইন মাছের বাজার চালু হওয়ার পরে গত দু’বছরে বার্ষিক ৩০ শতাংশ হারে ক্রেতা বেড়েছে।

কলকাতায় এখন বেসরকারি অনলাইন বাজারের সংখ্যা দুই। একটি চালু হয় ২০১৫ সালে। অন্যটি চালু হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। অনলাইন প্রযুক্তিতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, চিতল, মৌরালা, পাবদে, পারশে, ট্যাংরা, ইলিশ, গুড়জালি থেকে শুরু করে নানান প্রজাতির মাছ। তিন বছর আগে খোলা একটি বেসরকারি সংস্থার সিইও অভিরূপ বসাক বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের মোট নথিভুক্ত ক্রেতার সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে যথাক্রমে দু’‌কোটি এবং সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ জন ক্রেতা অনলাইনে মাছ বুকিং করেন।’’ তাঁরা শিয়ালদহ, পাতিপুকুর, হাওড়ার মাছ বাজার ছাড়াও শহর, শহরতলির পাইকারি মাছ বাজার থেকে নিয়মিত টাটকা মাছ কিনে ক্রেতাদের সরবরাহ করেন বলে জানালেন অভিরূপবাবু। প্রতিদিন বাজার থেকে মাছ নিতে গেলে আগের দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে বুকিং করতে হবে। পরের দিন সকাল ১০টার মধ্যে বাড়়িতে পৌঁছে যাবে মাছ।

অন্য একটি বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার দীপঙ্কর হালদারের কথায়, ‘‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স সবে এক মাস। এরই মধ্যে ভাল সাড়া মিলেছে।’’ ওই সংস্থার অনলাইনে মাছ পেতে হলে সকালে বুকিং করলে সে-দিন বেলা ১১টা থেকে ২টোর মধ্যে টাটকা মাছ পৌঁছে যাবে বাড়িতে। আবার বেলার দিকে বুকিং করলে হেঁশেলে মাছ পৌঁছবে বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টার মধ্যে।

Mobile App SmartFish
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy