মেয়েটি কলেজ যেতে শুরু করেছে। মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মোবাইল দিয়েছেন বাবা-মা। উল্টে হয়েছে বিপত্তি। এমন সব এসএমএস আসছে, যা দেখে কান লাল হয়ে যাচ্ছে মেয়ের। ছবি-চুটকি, ‘বন্ধুত্ব’ করার আর্জি। চাই কি দুপুরে-রাতে ফোন। শান্ত মাথায় দাওয়াই দিন।
পুলিশে জানান
যে নম্বর থেকে জ্বালাতন করা হচ্ছে, সেটি দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ এলে তো হাতে-গরম প্রমাণ আছেই। ফোন এলেও সমস্যা নেই, কল রেকর্ডের বন্দোবস্ত এখন বেশির ভাগ ফোনেই আছে।
পুলিশ কী কী করবে
ভারতীয় দণ্ডবিধির জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় মামলা রুজু করা হতে পারে। হুমকি বা শাসানি দেওয়া হয়ে থাকলে জুড়ে দেওয়া হতে পারে ৫০৬ ধারাও। সাজা ৩-৫ বছর জেল।
অপরাধী ধরা পড়বে কী করে
নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ খুঁজে বের করতে পারে, যে এক বা একাধিক নম্বর থেকে এই কুকীর্তি করা হচ্ছে, সেটি কার নামে নথিভুক্ত। সেটি আছেই বা কোন এলাকায়। সেই সূত্র ধরেই হানা দেবে পুলিশ।
বিশেষ রক্ষাকবচ
যে মেয়েটির ফোনে উৎপাত করা হচ্ছে, তার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তো নাবালিকাদের সুরক্ষার জন্য চালু ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (ছোট করে ‘পক্সো’) আইনের ধারা বলবৎ হবে। তাতে সুবিধা হল, অভিযোগকারিণীর পরিচয় প্রকাশ্যে আসবে না। জেলা স্তরে ‘চিলড্রেন কোর্ট’-এ বিচারও হবে রুদ্ধদ্বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy