Advertisement
০৬ মে ২০২৪

কী ভাবে সামলাবেন বিড়াল-ছানা

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটা বিড়ালছানা নিয়ে হাজির বাবাই। আবদার এ বার থেকে বাড়িতেই থাকবে দুধ সাদা রঙের ছানাটা। কিন্তু এত ছোট বিড়াল নিয়ে কী ভাবে সামাল দেবেন, ভেবেই মাথায় হাত বাবাইয়ের মায়ের। পরামর্শ দিলেন পশুরোগ বিশেষজ্ঞ গৌতম মুখোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকার: মোনালিসা ঘোষ।রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনার পর প্রথমেই শাবকটিকে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান কোনও পশু চিকিৎসকের কাছে। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে কৃমির ওষুধ। সদ্যোজাত শিশুকে যা খাওয়াতে হয়, তাই খাওয়াতে পারেন শাবকটিকে।

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:২৭
Share: Save:

রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনার পর প্রথমেই শাবকটিকে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান কোনও পশু চিকিৎসকের কাছে। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে কৃমির ওষুধ। সদ্যোজাত শিশুকে যা খাওয়াতে হয়, তাই খাওয়াতে পারেন শাবকটিকে। প্রথম মাস দিতে পারেন যে কোনও শিশুখাদ্য। দেড় মাস বয়স হলে ভাত আর মাছ সেদ্ধ করে দিন। সেটা মিক্সিতে আরও মেখে দিতে পারেন। তবে এখন বাজারে নানা প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়। পেস্ট আর শুকনো-এই দু’রকম খাবারই শাবকটিকে দিতে পারেন। দিনে তিন-চারবার খেতে দিতে হবে।

১। দেড় থেকে দু’মাস বয়স হলে শাবকটিকে আবার কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। আর এর এক সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই শাবকটিকে টিকা দিতে হবে। তিন মাস পর আবার ওই টিকা দিতে হবে। শাবকটিকে ট্রাইক্যাট ও রেবিস-এই দুই টিকা দিতে হবে।

২। বিড়ালরা মলমূত্র ত্যাগ করে মাটি বা বালি চাপা দেয়। যদি আপনি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হন, তাহলে পোষ্যর জন্য অবশ্যই কিনতে হবে মল-মূত্র ত্যাগ করার পাত্র বা স্যান্ড বেড। এই জাতীয় পাত্রে বালি দেওয়া থাকে। এতে বিড়ালদের সুবিধা হবে। এমন পাত্র মিলবে যে কোনও পোষ্যর দোকানে। আর আপনার বাড়ির সামনে যদি বাগান বা মাঠ থাকে, তাহলে তো সমস্যাই নেই। মলত্যাগের জন্য পোষ্যকে সেখানে ছেড়ে দিলেই হবে।

৩। বিড়াল খাবার হজম করতে ঘাস খায়। আবার গা চুলকোলেও ঘাসেই গড়াগড়ি খায়। বাড়ির সামনে ঘাস থাকলে তো ভাল। কিন্তু যদি না থাকে? তাহলেও চিন্তা নেই। বাজার থেকে কিনে আনুন ঘাস। সেটাকেই বিছিয়ে রাখুন। তবে ঘাস রাখতেই হবে। কারণ বিড়াল গা চুলকোলে লোমের বল তৈরি হয়। সেটা পোষ্যর পেটে গেলে ক্ষতিকারক। অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে সে। ওই ঘাস খেয়ে বমি করেই নিজেকে সুস্থ রাখে বিড়াল।

৪। অনেকেই ভাবেন, বিড়ালের ডিপথিরিয়া রোগ হয়। আসলে বিড়ালের ডিপথিরিয়া হয় না। সে ওই অসুখের বাহক। তাই এই রোগের ক্ষেত্রে বিড়ালকে টিকাকরণ করা সম্ভব নয়। বাড়িতে গর্ভবতী মহিলা থাকলে বিড়ালের সঙ্গে তাঁর না শোয়াই শ্রেয়। কারণ, অনেক সময় বিড়াল থেকে রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ওই মহিলা। এক্ষেত্রে একটু সাবধানতা প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE