Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mother’s Day 2019

মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চান? মাতৃদিবসে তা হলে এগুলোই হোক উপায়

শেষ বোশেখের দাবদাহে দিনের আলোয় বাইরে বেরোনোই যেন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে হই হই করে এসে গেল মাতৃদিবস। দোকানে দোকানে মায়েদের জন্য উপহারের সম্ভার।

মনে মনে রোজই হোক মাতৃদিবস।

মনে মনে রোজই হোক মাতৃদিবস।

সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০৯:০০
Share: Save:

শেষ বোশেখের দাবদাহে দিনের আলোয় বাইরে বেরোনোই যেন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে হই হই করে এসে গেল মাতৃদিবস। দোকানে দোকানে মায়েদের জন্য উপহারের সম্ভার। যদিও বেশির ভাগ মায়ের মতে, তাঁদের জীবনের সেরা উপহার তাঁদের সুসন্তান। কিন্তু তা বলে সন্তানেরা তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না! তাঁদের সাধ্যমতো কিছু সুন্দর উপহার মাকে দিতে মন চায় সকলেরই।

কর্পোরেট চাকরি হোক অথবা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সকলেই এই বিশেষ দিনে গর্ভধারিণীকে বিশেষ কিছু দিতে চায়। কিন্তু সকলের বাজেট বা ভাবনা তো সমান নয়। তাতে কী, হৃদয়ে ভালোবাসা থাকলে যে কোনও উপহারই সেরা হয়ে উঠতে পারে।

মাতৃদিবসের মূল আখ্যান রোম থেকে এলেও সারা বিশ্বেই এই দিনটা সমান জনপ্রিয়। যিশুখ্রিষ্টের জন্ম হতে তখনও ২৫০ বছর বাকি। সেই সময় রোমের অধিবাসীরা দেবী হিলারিয়াকে সম্মান জানাতে মাতৃ দিবসের প্রচলন শুরু করেন।

মাকে দেওয়া সেরা জিনিস হল সময়। এক দিন নয়, প্রতি দিন কিছুটা করে সময় রাখুন মায়ের জন্যে।

তার পর সাত সমুদ্র তেরো নদী দিয়ে গ্যালন গ্যালন জল বয়ে গিয়েছে। যিশুখ্রিষ্ট ক্রুশ বিদ্ধ হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পর মা মেরিকে স্মরণ করে শুরু হল মাদারিং সানডে। সেও অনেক কাল আগের ঘটনা। সীমাবদ্ধ ছিল নির্দিষ্ট জায়গায়। বর্তমান ধারণার মাতৃদিবস শুরু হয় ১৯০৮ সালে। আমেরিকায় শান্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আন্না জার্ভিস মায়ের জন্যে গোটা একটা দিন বরাদ্দ করার দাবি তোলেন। অ্যানা জার্ভিস আমেরিকাবাসীর কাছে আবেদন করেন রোজ সম্ভব না হলেও মাদার্স ডে-তে অন্তত ছেলে মেয়েরা যেন মায়ের জন্য হাতে লেখা একটা চিঠি আর উপহার দেন। তার পর থেকে বিশ্ব জুড়ে মাতৃদিবস পালন করা হয় হইহই করে। মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বের ৪৬ টি দেশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশ ভারতও মাতৃদিবসের উৎসবে মেতে উঠেছি। কিন্তু মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে সব সময়ই যে খুব দামী উপহার কিনতে হয় এমন নয়, এমনকি, উপহারও যে খুব প্রয়োজন তাও নয়। তা হলে এ বার মাতৃহিবসে কী ভাবে একটু আনন্দ দিতে পারেন মা-কে? কাজে লাগাতে পারেন এ সব টিপ্‌স।

আরও পড়ুন: গরমেও ঠান্ডা থাকুক শরীর​

মায়ের সব কাজকর্মকে বেশির ভাগ মানুষই টেকেন ফর গ্র্যান্টেড মনে করেন। এই ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। মায়ের প্রতিটি ছোট ছোট কাজের পিছনে তাঁর ভালবাসা আর নিষ্ঠাকে স্বীকৃতি দিন। বিশ্ব মাতৃদিবসে সকালে ঘুম ভেঙে উঠেই মায়ের জন্যে গরম ধোঁয়া ওঠা এককাপ চা বানিয়ে মায়ের ঘুম ভাঙান, সঙ্গে দিতে পারেন নিজের হাতে বানানো কেক বা কুকি। এই উপহার মায়ের কাছে হবে অমূল্য!

মাকে চমক দিতে ব্রেকফাস্টে বানিয়ে ফেলুন মায়ের প্রিয় কোনও খাবার। নিতান্তই না পারলে অর্ডার করে হোম ডেলিভারিতে আনিয়ে নিন ব্রেকফাস্ট।

অনেক সময় মায়ের কোনও শখ সংসারের যাঁতাকলে হারিয়ে যায়। মা হয়তো গাছ, ফুল অথবা গান ভালবাসতেন। কিন্তু সেই শখ আর বজায় রাখতে পারেননি। মায়ের জন্য কিনে আনতে পারেন টব-সহ ফুল বা পাতাবাহার গাছ। খরচ এমন কিছু বেশিও নয়।

সম্ভব হলে ঘরের কোণে রাখার মত রট আয়রন স্ট্যান্ড-সহ গাছ কিনে উপহার দিতে পারেন।

এ ছাড়া পছন্দের কোনও শিল্পীর গানের সিডি অথবা ব্লুটুথ স্পিকার কিনে দিতে পারেন। কাজের ফাকে ফাঁকে গান শুনতে পারবেন।

মায়ের পছন্দের কোনও গল্প বা উপন্যাসের বই অথবা রান্নার বই উপহার দেওয়া যেতে পারে অনায়াসে।

আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের দাম চোখ রাঙাচ্ছে, এ সব উপায়ে গ্যাসের খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয়ী হোন

মা টেক স্যাভি হলে কিনে দিতে পারেন তেমন কোনও প্রয়োজনীয় জিনিসও। তা সে হেডফোন হোক বা ভাল মানের কোনও পেনড্রাইভ।

একটু অন্য রকম ভাবে সময় কাটানোর জন্য মাকে যোগা ক্লাশে ভর্তি করে দেওয়া যায়। শরীর মন দুইই ভাল থাকবে।

মাকে দেওয়া সেরা জিনিস হল সময়। এক দিন নয়, প্রতি দিন কিছুটা করে সময় রাখুন মায়ের জন্যে। যদি দূরে থাকেন মাকে নিয়ম করে ফোন করে কথা বলুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE